ডাকসুর সাবেক সহসভাপতি (ভিপি) এবং গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরের ওপর যৌথ বাহিনীর অতর্কিত হামলার প্রতিবাদে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) বিক্ষোভ মিছিল করেছেন শিক্ষার্থীরা। শুক্রবার (২৯ আগস্ট) রাত ১১টা ৩০ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয়ের জিয়া মোড় থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রধান ফটকে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হয়। বিক্ষোভ থেকে জাতীয় পার্টিকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানানো হয়।
এ সময় শিক্ষার্থীদের ‘জুলাই যুদ্ধ আহত কেন, প্রশাসন জবাব দে’, ‘দিয়েছি তো রক্ত, আরও দেব রক্ত’, ‘আপা গেছে যে পথে, জাপা যাবে সেই পথে’, ‘নুরের ওপর হামলা কেন, ইন্টেরিম জবাব দে’সহ বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা যায়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী অর্ণব বলেন, একজন জাতীয় নেতা নুরুল হক নুরের ওপর হামলা এটাই প্রমাণ করে যে ইন্টেরিম সরকারে এখনো ফ্যাসিবাদীরা সক্রিয়। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকতে ভারত ও তাদের বিশ্বস্ত সেনাপ্রধানকে ব্যবহার করে ফ্যাসিবাদ চালু রেখেছিল। আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক উইং নির্মূল না করা পর্যন্ত তাদের রাজনৈতিক আধিপত্যও নির্মূল হবে না।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ইবির সাবেক সমন্বয়ক এস এম সুইট বলেন, নুর শুধু ২০২৪ সালের জুলাই আন্দোলনের অগ্রনায়ক নন, তিনি ২০১৮ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলনেরও নেতৃত্ব দিয়েছেন। ২০১৮ থেকে বর্তমান পর্যন্ত তিনি ভারতীয় আধিপত্যবাদ ও আওয়ামী ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে সরব থেকেছেন। নুরের ওপর হামলা আসলে জুলাই অভ্যুত্থানকারীদের ওপর হামলারই পূর্বাভাস। ইন্টেরিম সরকারের উচিত অবিলম্বে হামলায় জড়িত পুলিশ ও সেনাসদস্যদের জবাবদিহির আওতায় আনা। তা না হলে আবারও দেশে অভ্যুত্থানের ঝুঁকি তৈরি হবে।