কুষ্টিয়ায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ করেছে শাখা ছাত্রদল।
ল অ্যান্ড ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট বিভাগের শিক্ষক নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা শুরুর আগে আজ শুক্রবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইবনে সিনা একাডেমিক ভবনের সামনে তারা বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে। পরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে একটি স্মারকলিপি দেয় ছাত্রদল।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, ‘গত ৯ অক্টোবর ফোকলোর স্টাডিজ বিভাগে অনুষ্ঠিত শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগের দোসর হিসেবে পরিচিত রাকিবুল ইসলাম রাকিব নামের এক প্রার্থী অংশগ্রহণ করেন। এ ছাড়া সামনের আরও কয়েকটি নিয়োগ পরীক্ষায় ছাত্রলীগের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রার্থীরাও অংশ নেবে বলে জানা গেছে।’
স্মারকলিপিতে আরও বলা হয়, ‘আমরা ছাত্রদল কোনোভাবেই জুলাই চেতনার বাস্তবায়নে বাধা দিতে চাই না। তবে শিক্ষক নিয়োগে স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করার আহ্বান জানাই।’
এ বিষয়ে ইবি ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাহেদ আহম্মেদ বলেন, ‘ফোকলোর স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। যেখানে রাকিবুল নামের ছাত্রলীগের এক চিহ্নিত কর্মী উপস্থিত ছিলেন। তিনি ছাত্রলীগের অর্থ ও অস্ত্রের জোগানদাতা। আমরা গতকাল (বৃহস্পতিবার) রাতে দেখেছি, তিনি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন। আজও (শুক্রবার) ল অ্যান্ড ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট বিভাগের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় ছাত্রলীগের উপস্থিতির খবর পেয়েছি। এ বিষয়ে আমরা প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। তবুও প্রশাসন পরীক্ষা গ্রহণ অব্যাহত রেখেছে।’
জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ছাত্র হিসেবে মেধার ভিত্তিতেই পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। কারও রাজনৈতিক মতাদর্শ বা ব্যক্তিগত বিশ্বাস এই প্রক্রিয়ায় কোনো প্রভাব ফেলবে না। লিখিত, মৌখিক ও একাডেমিক ফলাফলে যারা সর্বোচ্চ নম্বর অর্জন করবেন, তাঁদেরই নিয়োগ দেওয়া হবে। নিয়োগ প্রক্রিয়ায় সম্পূর্ণ নিরপেক্ষতা বজায় রাখা হবে। আমাদের প্রত্যাশা, এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে যোগ্য ও মেধাবী শিক্ষক নিয়োগ হবে।’