ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) এমফিল ও পিএইচডি প্রোগ্রামে ভর্তিতে সিজিপিএ শর্ত শিথিলের দাবিতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি দিয়েছে শাখা ছাত্র ইউনিয়ন।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে প্রশাসন ভবনের সামনে মানববন্ধন শেষে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, সম্প্রতি অনুষ্ঠিত এমফিল ও পিএইচডি ভর্তি পরীক্ষা পতিত স্বৈরাচার প্রশাসনের প্রণীত নীতিমালার ভিত্তিতে হয়েছে। ভর্তির যোগ্যতা হিসেবে অনার্স ও মাস্টার্স উভয় পর্যায়ে ন্যূনতম ৩.৫০ সিজিপিএ নির্ধারণ করা হয়েছে, যা শিক্ষার্থীদের বৃহৎ অংশকে গবেষণার সুযোগ থেকে বঞ্চিত করছে।
তাদের অভিযোগ, দেশের অন্য কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা ভর্তির মানদণ্ডে এত উচ্চ শর্ত নেই। অথচ ইবিতে বিষয়ভেদে কোনো পার্থক্য ছাড়াই ন্যূনতম ৩.৫০ সিজিপিএ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এটি গবেষণার সুযোগ সীমিত করে শিক্ষার্থীদের ওপর অযৌক্তিক বৈষম্য চাপিয়ে দিচ্ছে।
এ সময় ছাত্র ইউনিয়ন তিন দফা দাবি জানায়। দাবিগুলো হলো—পতিত স্বৈরাচার প্রশাসনের প্রণীত গবেষণা নীতি অবিলম্বে বাতিল করতে হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রণীত নীতিমালার সঙ্গে সমন্বয় করে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন গবেষণা নীতি প্রণয়ন করতে হবে। বিদ্যমান ভর্তি পরীক্ষা নীতি বাতিল করে, নতুন নীতি প্রণয়ন এবং পুনরায় এমফিল ও পিএইচডি ভর্তির সুযোগ দিতে হবে।
এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা চাই কোয়ালিটি রিসার্চ। রিসার্চকে নষ্ট করতে চাই না। সিজিপিএ কত হবে—তা নির্ধারণে কমিটি কাজ করছে। প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয় স্বায়ত্তশাসিত, তাই তাদের এখতিয়ার থাকে মানদণ্ড নির্ধারণের। আমরা চাই না এমন কোনো শিক্ষার্থী ভর্তি হোক, যারা গবেষণা করার যোগ্যতা রাখে না।’