করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে ‘সর্বাত্মক লকডাউন’ চলছে। আপাতত ৫ তারিখ পর্যন্ত হলেও পরিস্থিতি বিবেচনায় সরকার লকডাউন বাড়ালেও বাড়াতে পারে। সর্বাত্মক লকডাউনে কিছু পেশা একেবারেই থেমে গেছে। ফলে পেশাজীবী মানুষদের জনজীবন এখন টালমাটাল অবস্থায়।
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় বিষণ্ন মনে বসে আছেন কয়েকজন ড্রাইভার। কথা হয় তাদের সঙ্গে। তাদের প্রত্যেকের সংসারে টানাপোড়েনের লেগেই থাকে। গাড়ির চাকা ঘুরলেই কেবল তাদের দুবেলা খাবারের ব্যবস্থা হয়। করোনা তাদের আহারটুকু কেড়ে নেওয়ার সব রকম আয়োজন সম্পন্ন করে রেখেছে। তাইতো তাদের চোখেমুখে হতাশার ছাপ।
আরেক অটোচালক মিজান বলেন, একটু ভালো রোজগারের আশায় ধার দেনা করে একটা অটোরিকশা কিনি। সংসার চালাতে হয় নানা কায়দায়। রোজ কামাই করি রোজ খাই। লকডাউনে এখন খাবারের জন্য টাকা কোথায় পাব। দুবেলা খাবারে জোগাতে হলে বাইরে বের না হওয়া ছাড়া আমার বিকল্প পথ নেই।