মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার গাড়াবাড়িয়া গ্রামে পারিবারিক বিরোধের জেরে জামাইয়ের ছুরিকাঘাতে চাচাশ্বশুরকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। আজ বৃহস্পতিবার ভোরে কাথুলী ইউনিয়নের স্কুলপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ইলিয়াস হোসেন (৪৪) গাড়াবাড়িয়া স্কুলপাড়ার মৃত লেকছার আলীর ছেলে। অভিযুক্ত জামাই সবুজ আহমেদ একই উপজেলার ষোলটাকা গ্রামের ময়নাল আলীর ছেলে।
নিহতের ভাই ইমদাদুল হক বলেন, ‘বাড়ির সবাই ঘুমিয়ে ছিল। এ সময় জামাই সবুজ ভোররাতে বাড়িতে এসে শ্যালক আব্দুল্লাহ ও স্ত্রী সালমা খাতুনের সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে। পরে ইলিয়াস হোসেন পরিস্থিতি শান্ত করতে গেলে সবুজ তার শরীরের বিভিন্ন অংশে ছুরিকাঘাত করে। এরপর পেটে ছুরি দিয়ে আঘাত করলে ভুঁড়ি বের হয়ে যায়। আহত অবস্থায় স্থানীয় ও পরিবারের সদস্যরা মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।’
ঘাতক সবুজ আহমেদের শ্যালক আবু আব্দুল্লাহ বলেন, ‘বোনের জামাই মাদকাসক্ত হওয়ায় বিভিন্ন সময় টাকা চেয়ে থাকে। টাকা না দিলে অত্যাচার-নির্যাতন করে আমার বোনকে। তিন দিন আগে বোনকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়। বাধ্য হয়ে বোন আমাদের বাড়ি চলে আসে। বোনকে নিয়ে যাওয়ার অজুহাতে গতকাল রাতে আমাদের বাড়ি আসে সবুজ। ভোররাতে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে কোমরে থাকা ধারালো ছুরি দিয়ে আমার চাচাকে হত্যা করে সবুজ। আমি ঠেকাতে গেলে আমাকেও আঘাত করেছে। আমি সবুজের ফাঁসি চাই।’
কাথুলী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. জিনারুল ইসলাম বলেন, ‘সবুজ ভোররাতে শ্বশুরবাড়ি আসে। সে একজন মাদকাসক্ত। গতকাল রাতেও সে মাদকাসক্ত অবস্থায় ছিল। সে শ্বশুরবাড়ির লোকজনের সঙ্গে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে তার কাছে থাকা ছুরি দিয়ে চাচাশ্বশুর ইলিয়াস হোসেনকে জখম করে। গুরুতর আহত ইলিয়াস হোসেনকে স্থানীয়রা দ্রুত উদ্ধার করে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান’
গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বানী ইসরাইল বলেন, ‘খবর পেয়ে দ্রুত পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘাতক সবুজকে পরিবার ও স্থানীয়রা আটক করে একটি ঘরের মধ্যে রাখে। পরে সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে থানায় নেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’