খুলনায় স্বামীর নির্যাতনে জান্নাতি আক্তার (২০) নামের এক তরুণীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। পাঁচ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর আজ বুধবার ভোরে নগরীর একটি বেসরকারি ক্লিনিকে মারা যান তিনি।
নিহত জান্নাতি খুলনা মহানগরীর হরিণটানা থানার জয়খালি ঘোলা এলাকার বাসিন্দা। পুলিশ তাঁর স্বামী আবু সালে টেপুকে (৩৫) আটক করেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, ২ মে রাত সাড়ে ১০টার দিকে পারিবারিক কলহের জেরে স্বামী টেপু জান্নাতিকে মারধর করেন। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় রাত সাড়ে ১১টার দিকে তাঁকে খুলনার সোনাডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ডসংলগ্ন খুলনা হেলথ কেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ ভোর ৫টার দিকে জান্নাতির মৃত্যু হয়। লাশ বর্তমানে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, হাসপাতালে ভর্তি থাকার সময়ও জান্নাতিকে মারধর করেছিলেন স্বামী টেপু।
এ বিষয়ে হরিণটানা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ খায়রুল বাসার বলেন, ‘জান্নাতিকে নিয়মিত মারধর করতেন আবু সালেহ গাজী। সর্বশেষ মারধরের পর তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে সোনাডাঙ্গার একটি ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। প্রথমে সোনাডাঙ্গা থানা-পুলিশ টেপুকে আটক করে। পরে তাঁকে হরিণটানা থানায় হস্তান্তর করা হয়। নিহত ব্যক্তির পরিবার লিখিত অভিযোগ দিলে টেপুকে গ্রেপ্তার দেখানো হবে।’