গরুর নাম ডন। এবার ঈদে সেই সাদা-কালো রঙের ডনের মূল্য ধরা হয়েছে ২০ লাখ টাকা। একই সঙ্গে এলাকায় গরুর মালিককে সবাই চেনে ডন মোস্তফা নামে। তাঁর আসল নাম মোস্তফা শেখ। তিনি উপজেলার ধাদুয়া গ্রামের ফেরদৌস শেখের ছেলে।
জানা যায়, মোস্তফা শেখ মাছের ব্যবসা করেন। এর পাশাপাশি গরুর খামার করাও তাঁর অনেক দিনের শখ। তাঁর খামারে রয়েছে ছোট-বড় বেশ কিছু হাইব্রিড জাতের গরু। ডন নামের গরুটি হলেস্টান ফ্রিজিয়ান জাতের। বয়স চার বছর। গরুর উচ্চতা ৬ ফিট, দৈর্ঘ্য সাড়ে ৮ মিটার। ডনের আনুমানিক ওজন প্রায় ৪০ মন হবে বলে দাবি করেন মালিক মোস্তফা শেখ।
মোস্তফা শেখ আরও বলেন, ‘আমার নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যদি আমার গরুটি পছন্দ করেন। তাহলে আমার মমতাময়ী মা আমাকে যে মূল্য দেবেন সেই মূল্যেই আমি তাঁর হাতে ডনকে তুলে দেব।
সরেজমিন গিয়ে জানা যায়, বটিয়াঘাটা উপজেলার সাত ইউনিয়নের ২৫১টি খামারে কোরবানি উপযোগী ষাঁড় রয়েছে ৮৯৫টি ও ছাগল ১৯৭ টি। এ ছাড়া ব্যক্তিগতভাবে অনেকেই কোরবানির জন্য পশু প্রস্তুত করেছেন। বিভিন্ন মহলের ধারণা, এলাকার পশু দিয়েই বটিয়াঘাটাবাসী কোরবানি করতে পারবেন। তাতে কোনো সংকট সৃষ্টি হবে না। উপরন্তু কিছু পশু উদ্বৃত্ত থাকতে পারে। এ ছাড়া এবার অন্য এলাকা থেকে কোনো কোরবানির পশু আমদানি করা হচ্ছে না। তবে এখনো উপজেলায় কোনো পশুর হাট বসেনি। কোরবানি করার আগ্রহীরা খামারে ও বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে খোঁজ নিয়ে পশু কেনার চেষ্টা করছেন।