যশোরের বেনাপোল থেকে ইদ্রিস আলী (১৫) নামে এক মোটর মেকানিক কিশোরকে অপহরণ করে আটকে রাখার পর পরিবারের কাছে মুক্তিপণ দাবি করেছে অপহরণকারীরা।
অপহৃতের বাবা আজিজুর রহমান জানান, গত মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকালে কাজের উদ্দেশে বেনাপোলের ঘিবা গ্রাম থেকে বের হওয়ার পর ইদ্রিস আর বাড়ি ফেরেনি। তার ফোনও বন্ধ পাওয়া যায়। গ্যারেজে খোঁজ নিয়েও তার সন্ধান না পেয়ে পরিবার গত বুধবার (১ অক্টোবর) পুলিশে অভিযোগ করে। এর এক দিন পর, বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) বিকেলে ইদ্রিসের বোনের মোবাইল ফোনে একটি ছবি পাঠানো হয়। ছবিতে দেখা যায়, ইদ্রিসকে একটি বদ্ধ ঘরে চোখ বেঁধে ফেলে রাখা হয়েছে। এই ছবির সঙ্গেই অপহরণকারীরা মুক্তিপণ দাবি করে।
ইদ্রিসের বাবা আরও জানান, সংসারের অভাবের কারণে গত মাসে ইদ্রিস বেনাপোল বাজারে একটি মোটরসাইকেলের গ্যারেজে কাজ নেয়। গত সপ্তাহে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বেনাপোল বাজারের মেয়র মার্কেটে কিশোর গ্যাংয়ের ৮ থেকে ১০ জন সদস্য ইদ্রিসকে তিন দফায় মারধর করে এবং পরে হত্যার হুমকিও দেয়। পরিবারের ধারণা, এই চক্রই ইদ্রিসকে অপহরণ করেছে।
এ ঘটনায় অভিযোগ পাওয়ার পর বেনাপোল পোর্ট থানার পুলিশ রেজওয়ান, এজাজ ও হাবিব নামে তিন সন্দেহভাজন কিশোরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে।
বেনাপোল পোর্ট থানার পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) রাশেদুল ইসলাম জানান, জিজ্ঞাসাবাদের পর ওই তিন কিশোরকে পরিবারের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তারা ইদ্রিসকে মারধরের কথা স্বীকার করলেও অপহরণে জড়িত থাকার বিষয়টি অস্বীকার করেছে। তিনি আরও বলেন, ‘আমরা ইতিমধ্যে ইদ্রিসকে উদ্ধার এবং এ ঘটনার প্রকৃত অপরাধীদের শনাক্ত করতে তদন্ত শুরু করেছি।’