খুলনার ডুমুরিয়ায় অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টার মামলায় নারায়ণ চন্দ্র রায় নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার সকালে বিশেষ অভিযান চালিয়ে ডুমুরিয়ার জিয়ালতলা এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গ্রেপ্তার নারায়ণ চন্দ্র রায় একটি আশ্রমের ধর্মগুরু এবং ভুক্তভোগীর পরিবারের পূর্বপরিচিত। তিনি এলাকায় বিভিন্ন রোগের চিকিৎসা দেন। ভুক্তভোগীর চাচি অসুস্থ থাকায় গত ১৬ জুলাই রাতে নারায়ণ চন্দ্র রায় ভুক্তভোগীর অসুস্থ চাচিকে দেখতে যান। এর পরিপ্রেক্ষিতে ভুক্তভোগীর পরিবার ঘরোয়াভাবে একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠান শেষ হতে অনেক রাত হওয়ায় ভুক্তভোগী উক্ত বসতঘরের মাঝের রুমের ফ্লোরে ঘুমিয়ে পড়ে। অনুষ্ঠান রাত অনুমান দেড়টার দিকে শেষ হয়।
ভুক্তভোগী ফ্লোরে ঘুমিয়ে পড়ায় এবং রাত অনেক হওয়ায় তাকে রুমে রেখে সবাই যার যার কক্ষে চলে যান এবং গ্রেপ্তার নারায়ণ চন্দ্র রায় উক্ত ঘরের খাটের ওপর ঘুমিয়ে পড়েন। পরে ওই রাতে সাড়ে ৩টা থেকে ৬টার মধ্যে নারায়ণ চন্দ্র রায় সুযোগ বুঝে ভুক্তভোগীকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। কিন্তু ভুক্তভোগীর ঘুম ভেঙে যাওয়ায় ব্যর্থ হন। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর বাবা বাদী হয়ে ডুমুরিয়া থানায় এজাহার করেন।
মেয়ের বাবা বলেন, ‘ঘটনার পর থেকে মেয়ে আমাদের সঙ্গে অস্বাভাবিক আচরণ শুরু করে।’
ডুমুরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাসুদ রানা বলেন, কদমতলা গ্রামের এক কন্যাশিশু ধর্ষণচেষ্টার শিকার হয়েছে। এ ঘটনায় করা মামলায় জিয়েলতলা গ্রামের নারায়ণ চন্দ্র রায়কে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।