বঙ্গোপসাগরের সৃষ্ট প্রবল ঘূর্ণিঝড় হামুনের প্রভাবে বাগেরহাটে গুমোট আবহাওয়া বিরাজ করছে। আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে সূর্যের দেখা না মিললেও সতর্ক অবস্থানে রয়েছে জেলা প্রশাসন। দুর্যোগের প্রস্তুতি হিসেবে খোলা রাখা হয়েছে আশ্রয়কেন্দ্রগুলো, প্রস্তুত রাখা হয়েছে ১০টি মেডিকেল টিম।
ঘূর্ণিঝড় হামুনের সতর্কতায় জেলা প্রশাসন ও জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির পক্ষ থেকে অনলাইনে জরুরি সভা করেছেন জেলা প্রশাসক মোহা. খালিদ হোসেন। সভায় বাগেরহাট জেলা পুলিশ, সিভিল সার্জন, কোস্টগার্ড, সুন্দরবন বন বিভাগ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, সাংবাদিক, বিভিন্ন এনজিও ও সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মোহা. খালিদ হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জেলার সকল আশ্রয়কেন্দ্রগুলোকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে পর্যাপ্ত আলো, পানি ও শুকনো খাবারের জন্য স্থানীয় প্রশাসনকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ১০টি মেডিকেল টিম, প্রয়োজনীয় স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রয়েছে। এ ছাড়া বেড়িবাঁধের বাইরের বসতি ও ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার লোকদের যথাসময়ে আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়ার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’ পরবর্তীতে আবহাওয়ার পরিস্থিতি ও মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
এ দিকে সকাল থেকে উপকূলীয় এলাকাগুলোতে সূর্যের দেখা মেলেনি। এখনো এসব এলাকায় যান চলাচল ও মানুষের জীবনযাত্রা স্বাভাবিক রয়েছে। তবে সতর্ক অবস্থায় রয়েছেন মাছ চাষিরা। ঘেরের পাড় মেরামত ও ত্রিপাল টানাতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন তারা।
তিনি আরও বলেন, ‘বন্দরের জেটিতে কোনো জাহাজ নেই। অ্যাঙ্করেজ এলাকায় ৬টি জাহাজ রয়েছে। লাইটার জাহাজগুলোকে নিরাপদ স্থানে অবস্থান নিতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া ঘূর্ণিঝড় উপলক্ষে মোংলা বন্দরে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। আবহাওয়ার পরিস্থিতি বুঝে পরবর্তী নির্দেশনা দেওয়া হবে।’
মোংলা আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ মো. হারুন অর রশিদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় হামুনের প্রভাবে মোংলা ও তৎসংলগ্ন এলাকায় ৫ নম্বর সংকেত দেখানো হয়েছে। একটি গুমোট আবহাওয়া বিরাজ করছে। না রোদ, না বৃষ্টির মতো অবস্থা।’ তবে যে কোনো সময় বৃষ্টি শুরু হতে পারে বলে মন্তব্য করেন এই কর্মকর্তা।