হোম > সারা দেশ > খুলনা

মেয়েরা শাড়ি পরে এলেই ফুল মার্কস—খুবির সেই অধ্যাপকের বিরুদ্ধে আরেক ছাত্রীর অভিযোগ

খুবি প্রতিনিধি 

অধ্যাপক ড. রুবেল আনসার। ছবি: সংগৃহীত

যৌন হয়রানিতে অভিযুক্ত খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) বাংলা ডিসিপ্লিনের শিক্ষক অধ্যাপক রুবেল আনছারের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের আরও এক ছাত্রীকে অশোভন আচরণ, একান্ত সাক্ষাতের চাপ এবং গাড়িতে ভ্রমণের প্রস্তাবের অভিযোগ উঠেছে।

গতকাল রোববার (১৭ আগস্ট) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন হয়রানি ও নিপীড়ন নিরোধ কেন্দ্রের সভাপতির কাছে লিখিত অভিযোগ দেন ভুক্তভোগী ছাত্রী। অভিযোগপত্রে তিনি তাঁর সঙ্গে ঘটে যাওয়া ঘটনার ধারাবাহিক বর্ণনা দিয়েছেন এবং কথোপকথনের স্ক্রিনশটও জমা দিয়েছেন।

ভুক্তভোগী ছাত্রী বলেন, ‘সম্প্রতি অধ্যাপক রুবেল আনছারের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ উঠেছে, যা দেখে আমার সঙ্গে ঘটে যাওয়া ঘটনার সঙ্গে মিল খুঁজে পাই। আমাকে প্রতিনিয়ত মেসেজ দিয়ে বিভিন্ন বিষয় জিজ্ঞেস করতেন তিনি। এ ছাড়া স্যারের গাড়িতে ওঠাতে চেয়েছেন, যা অজুহাত দিয়ে এড়িয়ে গিয়েছি আমি। উনি আমার বাবার বয়সী একজন মানুষ, তারপরও এভাবে কথা বলেন কীভাবে! তিনি বলতেন, ‘‘মেয়েরা শাড়ি পরে এলেই ফুল মার্কস’’, যা ক্লাসের সবাই জানে।’

তবে অভিযোগগুলো অস্বীকার করে রুবেল আনছার বলেন, ‘আমি এই মেয়েকে চিনি। কখন কোন প্রসঙ্গে কথা হয়েছে, সে বিষয় মনে নেই।’

এদিকে ভুক্তভোগী ছাত্রীর মা বলেন, ‘আমার মেয়ে এ ঘটনা বলার পরে থেকে মানতে পারতেছি না বিষয়টা। বিশ্ববিদ্যালয়ে মেয়ে পড়ালেখা করতে গেছে শিক্ষকদের কাছে, তারাই যদি এমন আচরণ করে, তাহলে মেয়েরা কোথায় যাবে। এমন ঘটনা তো অহরহ ঘটে। আমার মেয়ে সাহস করে বলতে পারছে আমাকে, অন্য অনেক মেয়ে তো লজ্জা আর ভয়ে কারও কাছে বলতে পারে না। এমন ঘটনা আর যেন না ঘটে, সে জন্য আমি এর দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই।’

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন হয়রানি ও নিপীড়ন নিরোধ কেন্দ্রের সভাপতি মোছা. তাসলিমা খাতুন বলেন, ‘ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে আরও একটি অভিযোগ আমরা পেয়েছি। আমাদের কেন্দ্রের সাত সদস্যের কমিটি এটা নিয়ে কাজ করবে। আমরা শিগগির আরও একটি মিটিং কল করব।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রবিষয়ক পরিচালক অধ্যাপক ড. নাজমুস সাদাত বলেন, ‘আরও একটি অভিযোগ এসেছে। তদন্ত যেহেতু চলছে, এ নিয়ে আমার কোনো মন্তব্য নেই।’ তদন্তে কেমন সময় লাগতে পারে, জানতে চাইলে তিনি বলেন, তদন্তে কেমন সময় লাগতে পারে, তা নির্দিষ্ট করে তো বলা সম্ভব নয়। তবে আইন অনুযায়ী ৬০ কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত শেষ করতে হয়, সেভাবেই হবে।

জামায়াতের কৃষ্ণের চ্যালেঞ্জ অনেক

প্রতিবেশীর বাড়ি থেকে শিশুর মরদেহ উদ্ধার: হত্যাকারীর ফাঁসির দাবিতে সড়ক অবরোধ

‘আদালতে হাজিরা দিতে এসে লাশ হয়ে ফিরলে কার কাছে বিচার চাইব’

খুলনায় জোড়া খুন: আসামিদের ভয়ে সন্ত্রস্ত পরিবার, পুলিশের মামলা অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে

পূর্ব সুন্দরবনে অভয়ারণ্যের খালে মাছ ধরার অভিযোগে ১০ জেলে গ্রেপ্তার

গল্লামারী সেতুর নির্মাণকাজ দ্রুত সম্পন্নের দাবিতে ১ ঘণ্টা ‘অচল কর্মসূচি’

খুলনায় ট্রেনে কাটা পড়ে যুবকের মৃত্যু

খুলনায় জোড়া হত্যা: বিলুপ্ত ‘ইহুদি’ বাহিনীর সদস্য আটক

ক্ষমতায় না গিয়েও অনেকে প্রশাসনিক ক্যুর চেষ্টা করছে: জামায়াত আমির

রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় খুলনা বারের সাবেক সভাপতি কারাগারে