ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে গ্যাস সিলিন্ডারের পাইপ লিকেজ হয়ে ঘরে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। এতে দগ্ধ হয়ে ফারজানা খাতুন (২০) নামের এক গৃহবধূ চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। গতকাল মঙ্গলবার রাতে উপজেলার সোয়াদি গ্রামে দগ্ধ হওয়ার ঘটনা ঘটে।
গৃহবধূর মৃত্যুর বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেন কোটচাঁদপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শারমিন আক্তার। তিনি বলেন, ‘ঘটনাটি শুনেছি। বর্তমানে ওই নারীর মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রয়েছে। তাঁর স্বজনেরা থানায় এসেছেন পুলিশের অনুমতি নিতে।’
ফারজানা খাতুন কোটচাঁদপুরের সোয়াদি গ্রামের নাজমুল হকের স্ত্রী। তিনি এক সন্তানের মা। তাঁর দেবর আজাদ রহমান বলেন, ‘মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে সিলিন্ডারের পাইপ লিকেজ হয়ে সারা ঘরে গ্যাস ছড়িয়ে ছিল। ভাবি রান্নার জন্য আগুন জ্বালতেই সারা ঘরে ছড়িয়ে পড়ে। আগুন লাগে তাঁর পরনের শাড়িতে। এরপর তিনি শাড়ি খোলার আগেই শরীর ঝলসে যায়।
স্থানীয়দের সহায়তায় ফারজানাকে উদ্ধার করে কোটচাঁদপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হয়। সেখানে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাঁকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে যশোর সদর হাসপাতালে পাঠান। পরে ফারজানাকে সেখানে ভর্তি করা হয়।
যশোর সদর হাসপাতালে থাকা অবস্থায় শরীরের অবনতি হলে ফারজানাকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয় বলে জানান আজাদ রহমান। তিনি বলেন, ‘আজ বুধবার ভোর ৫টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকার একটি হাসপাতালে মারা যান ভাবি। আগুন থেকে তাঁকে বাঁচাতে গিয়ে আমার ভাইয়ের হাত কিছুটা দগ্ধ হয়েছে।’
এ বিষয়ে কোটচাঁদপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক রাফসান রহমান বলেন, ‘আগুনে পোড়া রোগীকে গতকাল মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হয়। তাঁকে দেখে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। তবে আগুনে তাঁর শরীরের ৮৫ ভাগ পুড়ে যাওয়ায় যশোর সদর হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়।’