ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিরপুর ট্রাফিক বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) গৌতম কুমার বিশ্বাসকে চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপার (এসপি) হিসেবে পদায়নের আদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার সকাল ১০টায় ’চুয়াডাঙ্গাবাসী’ ব্যানারে চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সামনে এই কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। এতে জামায়াতে ইসলামী, এনসিপি এবং এবি পার্টির নেতাকর্মীরা অংশ নেন।
গত বৃহস্পতিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের এক প্রজ্ঞাপনে গৌতম কুমার বিশ্বাসকে চুয়াডাঙ্গার এসপি হিসেবে পদায়ন করা হয়। তিনি বিসিএস পুলিশ ক্যাডারের ২৫ তম ব্যাচের কর্মকর্তা এবং এর আগে ময়মনসিংহ পিবিআইয়ের এসপি ও পাবনা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপারসহ বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেছেন।
মানববন্ধনে বক্তারা গৌতম কুমার বিশ্বাসের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ উত্থাপন করেন। তারা বলেন, তিনি ২০১৬ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার থাকাকালীন বিভিন্ন বিতর্কে জড়িয়েছিলেন।
বক্তারা বলেন, ‘গৌতম কুমার টানা চারবছর (২০১৬-২০ সাল পর্যন্ত) পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে নানান বিতর্কে জড়ান। বিশেষ করে এই পুলিশ কর্মকর্তা মাগুরা-২ (শালিখা, মোহম্মদপুর ও সদরের কিছু অংশ) আসনের আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য বীরেন শিকদারের নিকটাত্মীয় পরিচয় দিতেন। সেই প্রভাব দেখিয়ে তিনি পাবনায় চলতেন। বিভিন্ন সময় ইসলামি জলসা বন্ধ, বিএনপি-জামায়াতের কর্মসূচির অনুমতি না দেওয়া এবং পণ্ড করে দেওয়াসহ নানান অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
মানববন্ধনে লোমহর্ষক নির্যাতনের অভিযোগ তুলে ধরে বক্তারা আরও বলেন, ‘পাবনায় থাকা অবস্থায় বিএনপি ও জামায়াতের বহু নেতাকর্মীকে লোমহর্ষক নির্যাতনের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। তার নাম শুনলেই বিএনপি ও জামায়াতের নেতা-কর্মীরা সব সময় তটস্থ থাকতেন। বিএনপি-জামায়াতকে নির্যাতনের পুরস্কার হিসেবে ২০১৮ সালে পুলিশ সুপার (এসপি) পদে পদোন্নতি দিয়েছিল শেখ হাসিনা সরকার। তিনি আওয়ামী সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক সম্পর্ক নিয়ে প্রকাশ্যে গর্ববোধ করতেন। তার পদায়নে বিএনপি ও জামায়াতের নির্যাতিত নেতাকর্মীরা ক্ষুব্ধ।’ ’ অবিলম্বে তার পদায়ন প্রত্যাহারের দাবি জানান বক্তারা।