ঝিনাইদহের শৈলকুপায় সালিসে এক শ্রমিককে গাছে বেঁধে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। শৈলকুপা উপজেলার শেখপাড়া গ্রামের সর্দারপাড়ায় গতকাল সোমবার সন্ধ্যার দিকে এ ঘটনা ঘটে। তবে আজ মঙ্গলবার পর্যন্ত এ ঘটনায় থানায় কোনো অভিযোগ দেওয়া হয়নি।
নিহত শ্রমিকের নাম শরিফুল ইসলাম বাটুল (৪০)। তিনি শেখপাড়া গ্রামের তারাচাঁদ মণ্ডল ও আছিরন নেছা দম্পতির ছেলে। হোটেলে শ্রমিকের কাজের পাশাপাশি তিনি ভ্যান চালাতেন।
স্বজন ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, শরিফুল ইসলাম বাটুলের সঙ্গে একই গ্রামের তাঁর মামাতো ভাই রহিম, লিটন ও রহমানের জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। তাঁরা এলাকার মাদক কারবারিদের সঙ্গে সখ্য গড়ে শ্রমিক বাটুলের সম্পত্তি জবরদখলের চেষ্টা করে আসছিলেন।
গতকাল সোমবার বিকেলে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে সালিসের আয়োজন করা হয়। সেখানে মামাতো ভাইদের সঙ্গে বাটুলের বাগ্বিতণ্ড হয় এবং বাটুলকে সালিসে লাঞ্ছিতসহ বাড়ির পাশে একটি গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন চালানো হয়। এতে অসুস্থ হয়ে পড়লে রাত ৯টার দিকে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে শরিফুল মারা যায়।
বাটুলের মা আছিরন নেছা জানান, বকুল জোয়ার্দ্দার গ্রামের মাতব্বর। তাঁর ডাকেই এই সালিস ও মারপিটের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, র্যাব-পুলিশের কাছে একাধিকবার গ্রেপ্তার হওয়া ও কয়েকটি মাদক মামলার আসামি শেখপাড়া গ্রামের চিহ্নিত মাদক কারবারি বকুল জোয়ার্দ্দারসহ প্রভাবশালীরা এ সালিস আয়োজন করে এবং তাঁরাই এ মারপিটের সঙ্গে জড়িত।
শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সফিকুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, শৈলকুপার শেখপাড়ায় বাটুল নামের এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। মাদক কারবারি ও শরিকদের মধ্যে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে এ ঘটনা ঘটতে পারে। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত থানায় কোনো অভিযোগ না আসায় মামলা দায়ের হয়নি।