যশোরে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে করা মানহানির মামলা তুলে নিলেন আওয়ামী লীগ নেতা এ কে এম খয়রাত হোসেন। গতকাল বুধবার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট গোলাম কিবরিয়া বাদীর আবেদনের ওপর শুনানি শেষে মামলা খারিজের আদেশ দেন।
বাদীর আইনজীবী মাহাবুব হোসেন সরকার লাল্টু তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
আদালত সূত্র জানায়, ২০১৪ সালের ২২ ডিসেম্বর জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এ কে এম খয়রাত হোসেন আদালতে এ মামলা করেন। একই ঘটনায় ওই সময় আরও দুটি মামলা করেন চৌগাছার বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহাজাহান কবির ও ঝিকরগাছা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার শাহাজাহান আলী।
অভিযোগে জানা যায়, বীর মুক্তিযোদ্ধা খয়রাত হোসেন দৈনিক জনকণ্ঠে প্রকাশিত সংবাদে জানতে পারেন, ১৫ ডিসেম্বর লন্ডনে বিএনপির এক সভায় তারেক জিয়া বঙ্গবন্ধুকে বড় রাজাকার, পাকবন্ধু এবং আওয়ামী লীগকে মোনাফেকের দল মন্তব্য করে বক্তব্য দিয়েছেন। একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তারেক রহমানের এ বক্তব্যে তাঁর মানহানি হয়েছে।
এ ঘটনায় খয়রাত হোসেন ২০১৪ সালের ২২ ডিসেম্বর মানহানির অভিযোগে আদালতে মামলা করেন। আদালতের তৎকালীন বিচারক অভিযোগের তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার আদেশ দেন কোতোয়ালি থানার ওসিকে। প্রতিবেদন প্রাপ্তির পর তারেক রহমানের প্রতি সমন জারির আদেশ দেন বিচারক।
পরবর্তী ধার্য দিনে তারেক রহমানের অনুপস্থিতিতে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আদেশ দেওয়া হয়। মামলাটি বর্তমানে চার্জ গঠন শেষে সাক্ষীর দিন ধার্য ছিল। কিন্তু মামলার বাদী গতকাল মামলা প্রত্যাহারের আবেদন করেন।
তিনি উল্লেখ করেন, বর্তমানে তিনি শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করছেন। ফলে এ মামলা তিনি আর চালাতে ইচ্ছুক নন। বিচারক শুনানি শেষে আবেদনটি মঞ্জুর করেন।