ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) আল-কোরআন অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী সাজিদ আবদুল্লাহর রহস্যজনক মৃত্যুর প্রতিবাদে শুক্রবার (১৮ জুলাই) রাত থেকে উত্তাল হয়ে ওঠে ছাত্রী হলগুলো।
রাত ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনটি ছাত্রী হল—জুলাই-৩৬, উম্মুল মুমিনীন আয়েশা সিদ্দিকা ও বেগম খালেদা জিয়া হলে একে একে শুরু হয় বিক্ষোভ। অবস্থান নিয়ে শিক্ষার্থীরা প্রশাসনের বিরুদ্ধে নানা স্লোগান দেন। মুহুর্মুহু স্লোগানে কেঁপে ওঠে পুরো হল এলাকা।
বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের—‘আমার ভাই মরলো কেনো, প্রশাসন জবাব দে/ আমার ভাই কবরে, প্রশাসন দিচ্ছে ঘুম, প্রশাসনের তালবাহানা, মানি না মানবো না, জাস্টিস জাস্টিস, উই ওয়ান্ট জাস্টিস/ বাজেট বাজেট বাজেট নাই, বাজেট কি তোর বাপে খায়/ তুমি কে আমি কে— সাজিদ সাজিদ ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা যায়।
জুলাই-৩৬ হলের আবাসিক শিক্ষার্থী রাবেয়া খাতুন বলেন, ‘জুলাই অভ্যুত্থানের পর আমরা প্রশাসনের কাছে অনেক প্রত্যাশা করেছিলাম। কিন্তু আজ সাজিদ, কাল আপনি, পরশু আমি—এভাবে নামের তালিকা বাড়তেই থাকবে। প্রশাসন আমাদের নিরাপত্তা কতটা নিশ্চিত করতে পারছে, তা নিয়ে প্রশ্ন আছে। আমরা এই ঘটনার প্রকৃত কারণ জানতে চাই।’
এর আগে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহ আজিজুর রহমান হলসংলগ্ন পুকুর থেকে সাজিদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টার হয়ে তাঁকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এই মৃত্যু ঘিরে তৈরি হয়েছে রহস্য। সাজিদের পরিবার ও সহপাঠীরা মনে করছেন, এটি নিছক পানিতে ডুবে যাওয়ার ঘটনা নয়। তাঁদের আশঙ্কা, এর পেছনে অন্য কোনো কারণ থাকতে পারে। তাঁরা নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।
ঘটনার পর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও হল প্রশাসন পৃথক দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।