খুলনায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি ও মারামারির ঘটনা ঘটেছে। গতকাল বুধবার রাত পৌনে ১১টার দিকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে এ ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনী সদস্যরা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
এদিকে মারামারির একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হয়েছে। সেখানে চাঁদার টাকা ভাগাভাগিকে কেন্দ্রে করে এ ঘটনা ঘটেছে বলে উল্লেখ করা হয়। এ ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে পুরাতন আওয়ামী লীগ অফিসের (বর্তমানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের নিয়ন্ত্রণে) মধ্যে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন খুলনা মহানগরীর যুগ্ম আহ্বায়ক মিরাজ ও রাকিবুল ইসলাম বনির মধ্যে হাতাহাতি হয়। পরে ছাত্ররা দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে মারামারিতে লিপ্ত হয়। পুলিশ ও সেনাসদস্যরা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের খুলনা মহানগর আহ্বায়ক আল শাহরিয়ার বলেন, ‘একে অন্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেওয়াকে কেন্দ্র করে কিছুটা উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়েছে। চাঁদাবাজির ঘটনা উদ্দেশ্যমূলকভাবে প্রচার করা হচ্ছে। তারপরও ঘটনা তদন্তে মহানগর যুগ্ম আহ্বায়ক সৈয়দ মোহাম্মদ রুম্মানকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তাদের পাঁচ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।’
এদিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন খুলনা মহানগরের সদস্যসচিব জহুরুল তানভীরের বহিষ্কারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে আরেক গ্রুপের নেতা-কর্মীরা। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে নগরীর শিববাড়ী মোড়ে ‘খুলনার সাধারণ শিক্ষার্থীবৃন্দ’-এর ব্যানারে এই কর্মসূচি পালন করা হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, সদস্যসচিব বিভিন্ন সরকারি অফিস ও প্রতিষ্ঠানে লোক পাঠিয়ে চাঁদাবাজি করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে সদস্যসচিবের বহিষ্কার এবং বিচারের দাবি জানান তাঁরা। একই সঙ্গে ছাত্র পরিচয় দিয়ে সরকারি-বেসরকারি অফিস, ব্যবসায়ীদের বাসাবাড়ি ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে চাঁদা দাবি করলে তাঁদের পুলিশে ধরিয়ে দেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে মানববন্ধন থেকে।
এ ব্যাপারে জহুরুল তানভীর বলেন, ‘আবদুল্লাহ ও রাব্বি নামের নগর কমিটির দুই সদস্য সম্প্রতি সিটি কলেজের সাবেক ভিপি ছাত্রলীগ নেতা (বর্তমানে একটি বাহিনীকে কর্মরত) বি এম মহিমের বাড়ি গিয়ে ১৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। মহিমরা স্থানীয় বাসিন্দা হওয়ায় বিষয়টি সবাইকে জানালে ওই দুজনকে আর ওই বাড়িতে যেতে নিষেধ করা হয়। এতে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে আমার বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছে।’