ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। বহিষ্কৃত শিক্ষার্থী আল আমিন বায়োমেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। গতকাল শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির জরুরি বৈঠকের সুপারিশক্রমে তাঁকে বহিষ্কার করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। অভিযুক্ত আল আমিন নওগাঁর মহাদেবপুর থানার কালনা গ্রামের বেলাল হোসেনের ছেলে।
এর আগে ছিনতাইয়ের ঘটনায় আইন বিভাগের শিক্ষার্থী রেজওয়ান সিদ্দিকী কাব্যকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। আল আমিনের বিরুদ্ধে মহাসড়কে ছিনতাইয়ে সহযোগিতা করার অভিযোগ রয়েছে। তাঁরা উভয়েই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ নেতা শাহজালাল সোহাগের কর্মী বলে জানা গেছে।
এদিকে এ ঘটনায় তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিতে আহ্বায়ক করা হয়েছে দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের প্রভোস্ট প্রফেসর ড. শামসুল আলমকে। এ ছাড়া একাডেমিক শাখার সাবরেজিস্ট্রার আলীবর্দী খানকে সদস্যসচিব এবং সাদ্দাম হোসেন হলের প্রভোস্ট প্রফেসর ড. আসাদুজ্জামানকে কমিটির সদস্য হিসেবে রাখা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত সোমবার রাতে কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়কে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটান কাব্য ও আল-আমিন। ড্রাইভারকে ছুরি দেখিয়ে ১০ হাজার টাকা দাবি করেন। টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে ড্রাইভার ও তার সহকারীকে মারধর করে মানিব্যাগ থেকে ৫ হাজার টাকা নিয়ে নেন তাঁরা।