ঝিনাইদহ জেলা কারাগারে মিলন লষ্কর (৩০) নামের এক হাজতির মৃত্যু হয়েছে। আজ সোমবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে তাঁর মৃত্যু হয়।
মৃত হাজতি শহরের পবহাটি এলাকার আতিয়ার লষ্করের ছেলে। তিনি অপহরণ মামলায় ১৪ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামি ছিলেন।
জানা গেছে, শহরের পবহাটি এলাকার বাসিন্দা মিলন লষ্করের সঙ্গে ২০১৩ সালে স্থানীয় একটি মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তাঁরা পরিবারের অমতে বিয়ে করেন। কিছুদিন পর মেয়ের বাবা আলিম উদ্দিন আদালতে একটি অপহরণ মামলা করেন মিলনের নামে। ওই মামলায় পুলিশ মিলনকে গ্রেপ্তার করলেও তিন মাস পর তিনি জামিনে মুক্ত হন। সেই থেকেই মামলাটি আদালতে বিচারাধীন ছিল।
২০২৩ সালের নভেম্বর মাসের ২৮ তারিখ ঝিনাইদহ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মিলনকে ১৪ বছরের কারাদণ্ড দেন। এরপর থেকে তিনি পলাতক ছিলের। পরে চলতি বছরের জানুয়ারি মাসের ২ তারিখ মিলন আদালতে আত্মসমর্পণ করলে আদালত তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
ঝিনাইদহ জেলা কারাগারের জেলার এস এম মহিউদ্দিন হায়দার হাজতির মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, গতকাল রোববার রাতে এশার ও লাইলাতুল বরাতের নামাজ পড়ে ঘুমিয়েছিলেন। আজ সকালে ফজরের নামাজ পড়ে হঠাৎ বুকে ব্যথা অনুভব করেন। পরে তাঁকে সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ধারণা করা হচ্ছে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক নাঈম সিদ্দিকী বলেন, ‘হাসপাতালে মিলনকে মৃত অবস্থায় পেয়েছি। কী কারণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে তা ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর বোঝা যাবে।