খুলনায় পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলায় ইয়াহিয়া শেখ নামের এক স্কুলশিক্ষককে গ্রেপ্তারের পর আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আজ রোববার তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়।
ইয়াহিয়া শেখ রূপসা উপজেলার আরমাই পাচানি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক।
আজ সকাল সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার স্বল্প বাহিরদিয়া ইউনিয়ন থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার হওয়া ওই শিক্ষক স্বল্প বাহিরদিয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা।
এদিকে খুলনা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা দিয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ২২ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে ভিকটিম।
রূপসা থানার দায়িত্বরত কর্মকর্তা মো. ছাত্তার জানান, ১৬ জুলাই বেলা দেড়টার দিকে উপজেলার আরমাই পাচানি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী টিফিনের সময়ে বাথরুমে যায়। এ সময় ওই বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ইয়াহিয়া শেখ ওই শিশুটির পিছু নেন। বাথরুমে কেউ না থাকার সুযোগে ওই শিক্ষক ছাত্রীকে ধর্ষণ করেন। ধর্ষণ শেষে কাউকে কিছু না বলার জন্য হুমকি দেন। ঘটনার পরপরই শিশুটি অসুস্থ হয়ে পড়ে। বিষয়টি পরিবারের সদস্যদের অবগত করে।
এ ঘটনায় শিশুটির পরিবারের এক সদস্য বাদী হয়ে রূপসা থানায় ধর্ষণের অভিযোগে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯ (১) ধারায় মামলা করেন। মামলা নম্বর ১৪। মামলার পর পুলিশ আজ রোববার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ওই শিক্ষককে বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা অসিত কুমার বলেন, গতকাল শনিবার রাতে মামলা হলে পরের দিন স্কুলের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়।
আজ রোববার দুপুর ১২ দিকে ওই শিশুটি খুলনার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ২২ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। শিশুটির শারীরিক পরীক্ষার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে ভর্তি করা হয়েছে। গ্রেপ্তার শিক্ষককে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
রূপসা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহফুজুর রহমান বলেন, শিশুটিকে খুলনা মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে। সেখানকার রিপোর্ট এলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।