মাগুরা সদর উপজেলায় ভাশুরের ছেলের লাঠির আঘাতে ঝরি বিশ্বাস (৫৫) নামের এক গৃহবধূ নিহত হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল শুক্রবার রাতে উপজেলার বগিয়া ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ নিহত নারীর ভাশুরের ছেলে প্রবীর বিশ্বাসকে আটক করেছে।
নিহত ঝরি বিশ্বাস বগিয়া ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুরের মনোরঞ্জন বিশ্বাসের স্ত্রী। অভিযুক্ত প্রবীর বিশ্বাস মনোরঞ্জন বিশ্বাসের ভাই লক্ষীকান্ত বিশ্বাসের ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পারিবারিক কলহের জেরে ভাশুরের ছেলে প্রবীর বিশ্বাস হঠাৎ ক্ষিপ্ত হয়ে তাঁর চাচি ঝরি বিশ্বাসকে লাঠি দিয়ে মাথায় আঘাত করেন। এতে তিনি গুরুতর আহত হলে স্বজনেরা তাঁকে মাগুরা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করান। অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে রাত আড়াইটার দিকে তাঁর মৃত্যু হয়।
ঝরি বিশ্বাসের মেয়ে রুপালী বিশ্বাস বলেন, ‘গতকাল শুক্রবার রাত ১১টার পরের ঘটনা। আমার মা তখন ঘুমিয়ে ছিলেন। হঠাৎ প্রবীর ঘরে ঢুকে ঘুমন্ত অবস্থায় মায়ের মাথায় আঘাত করেন। একটি বিয়েকে কেন্দ্র করে মায়ের সঙ্গে প্রবীরের দীর্ঘদিনের দ্বন্দ্ব ছিল। সেই রাগ থেকেই সে পরিকল্পিতভাবে এই ঘটনা ঘটায় এবং পরে পালিয়ে যান।’
ঘটনার পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত প্রবীর বিশ্বাসকে আটক করেছে। লাশ বর্তমানে মাগুরা সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
এ বিষয়ে আজ শনিবার দুপুরে মাগুরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আইয়ুব আলী বলেন, খবর পাওয়ার পরপরই পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এবং অভিযুক্তকে আটক করেছে। এ ঘটনায় আইনগত প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।