বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা বাগেরহাট জুড়ে সকাল থেকেই গুঁড়ি-গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। আজ সোমবার সকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত এ বৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে।
এ দিকে সময় বাড়ার সঙ্গে বৃষ্টি ও বাতাসের গতি আরও বাড়বে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত নিম্নচাপটি আরও সামান্য উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়েছে। গভীর নিম্নচাপটি মোংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ৬৩০ কিলোমিটার দক্ষিণে রয়েছে। যার ফলে মোংলা সমুদ্রবন্দরকে তিন নম্বর সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
তবে মোংলা বন্দরের পণ্য খালাস ও বোঝাই স্বাভাবিক রয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সকাল থেকে মোংলা, শরণখোলা, মোরেলগঞ্জ, কচুয়া, রামপালসহ সবই উপজেলায় গুঁড়ি-গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। কোথাও কোথাও ভারী বৃষ্টির খবরও পাওয়া গেছে। মোংলা, মোরেলগঞ্জ ও শরণখোলা ফেরি ও খেয়াঘাটে পারাপারে ভোগান্তিতে পড়ছেন সাধারণ মানুষ।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের সহকারী হারবার মাস্টার পাইলট বেলাল উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বন্দরের সকল কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের সিগনাল বৃদ্ধি ও পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
সোমবার সকাল ৬টা পর্যন্ত বন্দরে ১১টি বাণিজ্যিক জাহাজ ছিল। সবগুলোর কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে বলেও জানান তিনি।
মোংলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হারুন অর রশিদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে সকাল থেকে সূর্যের আলো দেখা যায়নি। সকাল থেকে হালকা ও মাঝারি বৃষ্টি হচ্ছে।’
বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মোহা. খালিদ হোসেন বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় হামুন বিষয়ে সকল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের প্রাথমিকভাবে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের সংকেত ও মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’