বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলা সদরের রায়েন্দা বাজারের মিষ্টি পানির পুকুরে দোকান-ঘর নির্মাণের উদ্যোগ বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন করেছে শিক্ষার্থীরা। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে ওই পুকুর পাড়ে মানববন্ধন করা হয়।
মানববন্ধনে উপজেলা সদরের রায়েন্দা সরকারি পাইলট হাইস্কুল, শরণখোলা আইডিয়াল ইনস্টিটিউট ও আরকেডিএস বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অংশ নেয়। এ সময় বক্তব্য দেন রায়েন্দা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান এম এ রশিদ আকন, শরণখোলা আইডিয়াল ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ মো. উসমান গণি, তাঁতি লীগ নেতা মো. শাহিন হোসেন, তাইজুল ইসলাম মিরাজসহ কয়েকজন শিক্ষার্থী।
শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নুর ই আলম সিদ্দিকী জানান, জেলা পরিষদের মালিকানাধীন শরণখোলার রায়েন্দা পুকুরের দক্ষিণ পাশে আধা-পাকা ঘর নির্মাণের জন্য সাতজনের নামে ২০২২ সালের ১৭ জুলাই জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের স্বাক্ষরিত ইজারা বন্দোবস্ত দেওয়া হয়। বন্দোবস্তের একটি চিঠি সম্প্রতি তাঁর দপ্তরে পৌঁছেছে।
ওই চিঠিতে ইজারা বন্দোবস্ত নেওয়া সাত ব্যক্তি হচ্ছেন শিরিন সুলতানা রুমি, মো. আসাদুজ্জামান খান, উজ্জল সাহা, অম্বরিশ রায়, মৌসুফা নুর মুমু, মো. ইমরান উদ্দিন শুভ ও শিশির কুমার সাহা। তবে পুকুরটি স্থানীয় জনসাধারনের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে জানান ইউএনও।
রায়েন্দা সরকারি পাইলট হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক অমলেন্দু হালদার, রায়েন্দা সরকারি মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. সাইদুর রহমান ও শরণখোলা আইডিয়াল ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ মো. উসমান গনি জানান, তাঁদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের হাজারো শিক্ষার্থী ওই পুকুরের পানি ব্যবহার করে।
রায়েন্দা ইউপির চেয়ারম্যান মো. আজমল হোসেন মুক্তা বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতিতে পুকুরটি সাধারণ মানুষের জন্য সংস্কার করা প্রয়োজন।’
জানতে চাইলে বাগেরহাট জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ঝুমুর বালা বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। এ বিষয়ে খোঁজ-খবর নিয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
বাগেরহাট জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা কামরুজ্জামান টুকু বলেন, ‘এ বিষয়ে কেউ লিখিত আপত্তি দিলে তদন্ত করে প্রয়োজনে ইজারা বাতিল করা হবে।’