খুলনায় বাংলাদেশ ট্যাংকলরি মালিক সমিতির সাবেক মহাসচিব ফরহাদ হোসেনসহ তিনজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার বিকেল ৪টার দিকে নগরীর খালিশপুর যমুনা রোডের মালা গ্যারেজের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে প্রথমে নগরীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।
ফরহাদ হোসেন উত্তর কাশিপুর এলাকার বাসিন্দা আকমান শেখের ছেলে এবং নগরীর ৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সদস্য। বাকি দুজন হলেন ফরহাদ হোসেনের গাড়িচালক মো. মনিরুল ইসলাম এবং তাঁর ম্যানেজার সোহেল।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, বিকেল ৪টার দিকে নগরীর খালিশপুর যমুনা ডিপো থেকে ব্যক্তিগত গাড়িতে জ্বালানি তেল নিয়ে বাড়ির দিকে যাচ্ছিলেন ফরহাদ ও তাঁর ম্যানেজার।
এ সময়ে কয়েকটি ব্যারেলবাহী ছোট একটি পিকআপ তাঁদের গতিরোধ করে। পিকআপের সামনে বসে থাকা একজন শটগান বের করে তাঁদের লক্ষ্য করে গুলি করতে গেলে বিষয়টি ফরহাদের গাড়িচালক টের পেয়ে ব্যাক গিয়ারে দিয়ে পেছনের দিকে যেতে থাকেন।
একই সময়ে মোটরসাইকেলে থাকা অন্য দুর্বৃত্তরা তাঁদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে ছুড়তে এক কিলোমিটার ধাওয়া করে। পরে চালক মেঘনা ডিপো হয়ে ফরহাদ হোসেনের বাড়িতে নিয়ে যায়।
শটগানের গুলি ফরহাদ হোসেনের বাঁ কানের লতি এবং মাথার ডান পাশের চামড়া ঘেঁষে যায়। ঘটনাক্রমে তিনি বেঁচে যান। তাঁর গাড়িচালক মো. মনিরুল ইসলামের বাঁ হাতে এবং ম্যানেজার মো. সোহেলের পিঠে শটগানের গুলি লাগে।
স্থানীয়রা আরও জানান, এ সময় দুর্বৃত্তদের সবার মুখে মাস্ক পরা ছিল। তিনটি মোটরসাইকেল ছয়জন যুবক তাঁদের গুলি করতে করতে পেছনের দিকে নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপ-পুলিশ কমিশনার (উত্তর) আবুল বাশার মোহাম্মাদ আতিকুর রহমান স্থানীয়দের বরাত দিয়ে বলেন, ‘সন্ত্রাসীরা তাঁদের লক্ষ্য করে পাঁচ-ছয়টি গুলি করে। গাড়ির কাচ ভেদ করে ফরহাদ হোসেন, তাঁর গাড়িচালক মো. মনিরুল ইসলাম এবং ম্যানেজার মো. সোহেল আহত হন।
‘স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। আমারা বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছি। তদন্ত করছি। কারা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত, তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালানো হচ্ছে।’