খুলনার ফুলতলা উপজেলায় গাজী সাদিকুল ইসলাম হত্যা মামলার ১২ আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ সোমবার বিকেলে খুলনার একটি আদালত তাঁদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
থানা-পুলিশ জানিয়েছে, আজ সকালে আত্মসমর্পণের উদ্দেশ্যে একটি গাড়িতে করে আদালতে যাচ্ছিলেন মামলার আসামিরা। এদিকে সংবাদ পেয়ে র্যাবের একটি দল তাঁদের নগরীর ডাকবাংলো মোড় থেকে গ্রেপ্তার করে। এরপর তাঁদের ফুলতলা থানায় হস্তান্তর করা হয়।
কারাগারে পাঠানো আসামিরা হলেন মো. হাবিবুর রহমান গাজী (৩৪), মো. তৈয়েবুর রহমান (২৮), মো. আসলাম বিশ্বাস (৫০), মো. আসিফ বিশ্বাস (২৩), মো. সজিব বিশ্বাস (২০), মো. ইমামুল বিশ্বাস (২৩), রেবেকা খাতুন (৬৫), সুমাইয়া বেগম (২৮), তাবাচ্ছুম হুর (২৫), রওশনয়ারা বেগম (৪২), মো. শাহাদাত জুমাদ্দার (৪৭) ও মো. শাহ আলম (৩৪)।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ফলতলা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শফিক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ঘটনার পর থেকে আসামিরা পলাতক ছিলেন। আজ তাঁদের আদালতে আত্মসমর্পণের কথা ছিল। তাঁরা আদালতের উদ্দেশে একটি প্রাইভেট কারযোগে সকালে ফুলতলা থেকে রওনা হন। কিন্তু আদালতে যাওয়ার আগে র্যাব তাঁদের নগরীর ডাকবাংলো মোড় থেকে গ্রেপ্তার করে। দুপুরের পরে তাঁদের থানায় হস্তান্তর করা হয়। বিকেলে আসামিদের আদালতে পাঠানো হলে বিচারক তাঁদের কারাগার পাঠানোর আদেশ দেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জান গেছে, ১৫ সেপ্টেম্বর বিকেলে ফুলতলা থানার উত্তরডিহি গ্রামে গাজী সাদিকুল ইসলামের জমিতে অনাধিকার প্রবেশ করে মেহগনিগাছ কাটতে থাকে দুর্বৃত্তরা। এমন সংবাদের ভিত্তিতে সাদিকুল ও তাঁর ভাই শাহিকুল গাজী ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন এবং গাছ কাটতে বাধা দেন। একপর্যায়ে আসামিরা সাদিকুলকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করেন। তাঁকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এর আগে এ ঘটনায় বাদী হয়ে সাদিকুলের মেয়ে শাহনীমা সুলতনা ফুলতলা থানায় মামলা করেন।