দক্ষ জনবলের অভাবে খুলনা জেলা নতুন কারাগার কার্যত অনিরাপদ হয়ে পড়েছে। ৮০ জন দিয়ে কারাগারের নিরাপত্তা কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। ওই কারাগারের জন্য নতুন আরও ১০ জনকে প্রশিক্ষণ দিতে রাজশাহী পাঠানো হয়েছে।
এদিকে নতুন কারাগার উদ্বোধনের পর থেকে এ পর্যন্ত ১৪০ জন কয়েদিকে নতুন কারাগারে নেওয়া হয়েছে। পরে ধাপে ধাপে আরও হাজতি এবং কয়েদি নতুন করাগারে নেওয়া হবে বলে কারা সূত্রে জানা গেছে।
জানতে চাইলে খুলনা জেলা কারাগারের জেলার মুনীর হুসাইন বলেন, উদ্বোধনের প্রথম দিনে পুরোনো কারাগার থেকে জেলার ১০০ জন কয়েদিকে নতুন কারাগারে নেওয়া হয়। পরে গত শনিবার আরও ৪০ জন কয়েদিকে নতুন কারাগারে পাঠানো হয়। আগামী রোববার খুলনা জেলার পাইকগাছা এবং কয়রা উপজেলার ৮০ জন কয়েদিকে ওখানে পাঠানো হবে।
মুনীর হুসাইন স্বীকার করে বলেন, দক্ষ জনবলের অভাবে নতুন কারাগারের কার্যক্রম পরিচালনা করা কঠিন হয়ে পড়েছে। ৮০ কারারক্ষী দিয়ে ১৪০ জন কয়েদিকে পাহারা দেওয়া হচ্ছে। কয়েদি এবং হাজতির সংখ্যা বাড়তে থাকলে ওই রক্ষী দিয়ে কাজ করা সম্ভব নয়। দক্ষ জনবলের প্রয়োজন।
জেলার আরও জানান, আগামী রোববারের পর থেকে কয়েক ধাপে কয়রা এবং পাইকগাছা উপজেলার কয়েদিদের নতুন কারাগারে পাঠানো হবে। নতুন কারাগারের কিছু কাজ অসমাপ্ত রয়েছে। অসমাপ্ত কাজগুলো শেষ হলে এখান থেকে জেলার আসামিদের সেখানে নেওয়া হবে। কারা প্রশাসন থেকে ১০ জনকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য রাজশাহীতে পাঠানো হয়েছে। আসামাত্রই তাদের নতুন কারাগারে পাঠানো হবে।
তবে জেলার বলেন, স্থানান্তরিত হওয়া কয়েদিরা জেলকোড অনুযায়ী সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছে। পুরোনো কারাগারটি চালু থাকবে। সেখানে খুলনা মেট্রোপলিটন এলাকার কয়েদি এবং হাজতিরা থাকবে।
কারা সূত্রে জানা গেছে, নগরীর ভৈরব নদের তীরে ১১৩ বছরের পুরোনো খুলনা কারাগারে জরাজীর্ণ ভবনে ঝুঁকি নিয়ে থাকতে হচ্ছে বন্দীদের। তাই খুলনার সিটি (রূপসা সেতু) বাইপাস সড়কের জয়বাংলা মোড়ের অদূরে প্রায় ৩০ একর জমির ওপর গণপূর্ত বিভাগের তত্ত্বাবধানে নতুন কারাগার নির্মাণ করা হয়েছে। এতে পরিকল্পনা অনুযায়ী ৪ হাজার বন্দী থাকতে পারবে। তবে আপাতত ২ হাজার বন্দী রাখার অবকাঠামো তৈরি হয়েছে। পরে প্রয়োজন পড়লে পৃথক প্রকল্প নিয়ে অন্য অবকাঠামো নির্মাণ করা হবে।