ঝিনাইদহ সদরের গোয়ালপাড়া বাজারে অটোভ্যান (ইঞ্জিনচালিত) ভাড়ায় যেতে না চাওয়ায় চালক বাবা ও তাঁর ছেলেকে কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) রাত ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
আহত জাহাঙ্গীর মোল্লা (৫৫) ও তাঁর ছেলে ইজাজুল মোল্লাকে (২২) ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁদের বাড়ি সদর উপজেলার বাজিতপুর গ্রামে। তবে এ ঘটনায় অভিযুক্ত পার্শ্ববর্তী ঘোড়ামারা গ্রামের শিমুল হোসেন (২৫) ঘটনার পর থেকেই পলাতক।
প্রত্যক্ষদর্শী ও আহত জাহাঙ্গীর মোল্লার ছোট ভাই ইকবাল মোল্লা জানান, রাতে গোপালপাড়া বাজারের পানামী সড়কের মাথায় অটোভ্যান নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিল জাহাঙ্গীর মোল্লা। সে সময় শিমুল হোসেন অটোতে কোনো একটি জায়গায় যেতে চান। কিন্তু যেতে রাজি না হওয়ায় তাঁদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে শিমুল তাঁর কাছে থাকা ধারালো অস্ত্র দিয়ে জাহাঙ্গীর মোল্লাকে কুপিয়ে আহত করেন। তখন পিতাকে বাঁচাতে এলে ছেলে ইজাজুলকেও তিনি কুপিয়ে আহত করেন। তখন অন্যরা ছুটে এলে পালিয়ে যান শিমুল হোসেন। সে সময় গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁদের উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করে স্থানীয়রা।
জাহাঙ্গীর মোল্লার স্ত্রী বেলী খাতুন বলেন, ‘আমি বাড়িতেই ছিলাম। বাজার থেকে খবর আসে আমার স্বামীকে কুপিয়ে আহত করা হয়েছে। তখন ঝালমুড়ি বিক্রি করা অবস্থায় দোকান থেকে ছেলে এসে তার বাবাকে ঠেকাতে গেলে তাকেও কোপানো হয়। পরে আমি হাসপাতালে আসি।’
ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সুলতানা মেফতাহুল জান্নাত বলেন, পিতা ও পুত্র দুজনের শরীরেই ধারালো অস্ত্রের গুরুতর আঘাত রয়েছে। এর মধ্যে ছেলে ইজাজুলের অবস্থা বেশি আশঙ্কাজনক। তাঁর ঘাড়ের রগ কেটে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয়েছে। দুজনকেই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে ঝিনাইদহ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। অভিযুক্ত শিমুলকে আটকের চেষ্টা চলছে। থানায় এখনো কোনো অভিযোগ দায়ের হয়নি।