যশোরের মনিরামপুরে পৌর মিনি পার্কে পণ্যবাহী ট্রাক ঢুকে ক্ষতিসাধনের ঘটনায় ক্ষতিপূরণের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে পৌরসভার কার্যসহকারী তপু এস এম আব্দুর রশিদের বিরুদ্ধে কারণ দর্শানোর (শোকজ) নোটিশ জারি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে এই শোকজ নোটিশ দেন মনিরামপুর পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) নিয়াজ মাখদুম। তিন কার্যদিবসের মধ্যে নোটিশের লিখিত জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এর আগে আজকের পত্রিকায় বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়, যা নজরে আসে পৌরসভার প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নিশাত তামান্নার। বর্তমানে তিনি ঢাকায় প্রশিক্ষণে থাকলেও সংবাদটি দেখার পরই প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেন।
সহকারী কমিশনার নিয়াজ মাখদুম বলেন, ‘ট্রাক ঢুকে পার্ক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ঘটনায় ক্ষতিপূরণের টাকা আদায় করে জমা না দেওয়ার অভিযোগ তদন্তের জন্য ইউএনও স্যারের নির্দেশে তপুকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বুধবার রাতে অভিযোগটি জানার পর আমি তপুকে ফোনে বিষয়টি জিজ্ঞেস করি। তিনি স্বীকার করেন, স্থানীয় কয়েকজনের মাধ্যমে ২২ হাজার টাকা পেয়েছেন, যা পরে জমা দিয়েছেন। আমি তাঁকে পুরো টাকা পৌর তহবিলে জমা দিতে বলেছি।’
গত মঙ্গলবার রাতে যশোর-চুকনগর আঞ্চলিক সড়কঘেঁষা মোহনপুর বটতলায় অবস্থিত মনিরামপুর পৌর মিনি পার্কে একটি পণ্যবাহী ট্রাক ঢুকে পড়ে। এতে পার্কের সীমানা পিলার, পানির ট্যাব ও যাত্রী ছাউনির টিনের চালাসহ বেশ কয়েকটি স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
পরদিন বুধবার সকালে তপু কয়েকজন স্টাফকে নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। সেখানে উপস্থিত ট্রাক মালিক সমিতির নেতাদের সঙ্গে সমঝোতা করে ৩৫ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ আদায় করা হয়। অভিযোগ রয়েছে, এই টাকা পৌর কোষাগারে জমা না দিয়ে তপু ও তার অনুসারীরা নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নেন।
তবে তপু বলেন, ‘ট্রাকমালিক আমাদের হাতে সরাসরি টাকা দেননি। স্থানীয় কয়েকজনের মাধ্যমে আমরা ২২ হাজার টাকা পেয়েছি এবং তা পৌরসভার ফান্ডে জমা দিয়েছি।’ তিনি আরও দাবি করেন, ইউএনওকে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাননি, পরে বিষয়টি সহকারী কমিশনারকেও জানানো হয়নি।
এদিকে পৌরসভার কোষাধ্যক্ষ শাহিনুর ইসলাম বলেন, ‘আমি ক্ষতিপূরণ আদায় বা জমা দেওয়ার বিষয়ে কিছুই জানি না। এই বাবদ কোনো টাকা আমার হাতে আসেনি।’