আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) সহকারী প্রকৌশলী শফিউল আলমের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ রোববার দুদকের সমন্বিত যশোর কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোশাররফ হোসেন ২০০৪ এর ২৬ (২) ও ২৭ (১) ধারায় মামলাটি দায়ের করেন।
অভিযুক্ত সহকারী প্রকৌশলী শফিউল আলম যশোরের অভয়নগরের চলিশিয়া গ্রামের গোলাম সরদারের ছেলে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, সহকারী প্রকৌশলী শফিউল আলমের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ উঠলে দুদক ২০২০ সালের ১৫ মার্চ সম্পদ বিবরণীর নোটিশ জারি করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে তিনি ওই বছরের ১০ জুন দুদকের যশোর কার্যালয়ে জবাব দাখিল করেন। সেখানে তিনি পৈতৃক সূত্রে ৭ দশমিক ২ শতক জমির মালিক বলে উল্লেখ করেন।
এ ছাড়া ২০১১ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি পাওয়ার পর নিজ ও স্ত্রী নামে ৩৬ লাখ ৮৯ হাজার টাকার জমি ক্রয় ও ২৪ লাখ টাকার বিল্ডিং নির্মাণ, ৬ লাখ ৯০ হাজার টাকার অস্থাবর সম্পদসহ মোট ৬৭ লাখ ৭৯ হাজার টাকার সম্পদ থাকার কথা জানান। কিন্তু গণপূর্তের সহায়তায় দুদক জানতে পারে বাড়ি নির্মাণে ৩৪ লাখ ৬৩ হাজার ৭৭০ টাকা ও স্ত্রী নামে জমি ক্রয়ে ব্যয় করেছেন ৪০ লাখ ৫৭ হাজার ৯০০ টাকা।
একই সঙ্গে অভিযুক্তের ২০২০-২১ অর্থ বছরের আয়কর রিটার্ন পর্যালোচনায় তার ব্যাংকে গচ্ছিত ১০ লাখ ৮৯ হাজার ৫৪৯ টাকা ও ৬০ হাজার ইলেকট্রিক সামগ্রী থাকার কথা জানা যায়।
সম্পদ যাচাইকালে দুদক তার নামে স্থাবর ৭৬ লাখ ২১ হাজার ৬৭০ টাকা ও অস্থাবর ৩৮ লাখ ৭৯ হাজার ৬৫৩ মোট ১ কোটি ১৫ লাখ ১ হাজার ৩২৩ টাকার সম্পত্তি থাকার তথ্য পায়। এ হিসেবে তিনি ৪৭ লাখ ২২ হাজার ৩২৩ টাকার সম্পদ গোপন করেছেন।
দুদকের সমন্বিত যশোর কার্যালয়ের উপপরিচালক আল আমিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দুদকের প্রধান কার্যালয়ের নির্দেশে খুলনা অফিসের এক স্মারকে মামলা দায়ের অনুমোদন প্রাপ্ত হয়ে যবিপ্রবির সহকারী প্রকৌশলী শফিউল আলমের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।’