খুলনার কয়রার দক্ষিণ বেদকাশী গ্রাম থেকে সুন্দরবনে কর্তন নিষিদ্ধ ৪০০ পিচ গরান কাঠ জব্দ করেছে বন বিভাগের কর্মীরা। আজ সোমবার ওই গ্রামের বিপুল সরকারের ঘের এলাকা থেকে এই কাঠ উদ্ধার করে জব্দ করা হয়। পরে জব্দ করা কাঠগুলো বন বিভাগের কোবাদক স্টেশনে স্থানান্তর করা হয়।
বন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দক্ষিণ বেদকাশী গ্রামের বিপুল সরকারের ঘেরের একটি পুকুরে সুন্দরবন থেকে গরানের সিটি এনে মজুত করা হয়। এগুলো ওই ঘেরে ব্যবহার করার কথা জানা যায়। পরে ঘটনাস্থলে তল্লাশি চালিয়ে ৪০০ পিচ গরান কাঠ জব্দ করা হয়।
এ বিষয়ে ঘেরের মালিক বিপুল সরকার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার ঘেরের পাশে নজরুল খাঁর পুকুর থেকে এ গরান কচা জব্দ করে আমাকে ফাঁসাতে নাটক করেছে বন কর্মকর্তা ফারুকুল ইসলাম।’
তিনি আরও বলেন, ‘নয় মাসে আগে সুন্দরবন থেকে একটি বন্য শুকুর লোকালয়ে প্রবেশ করে। শুকুরটি আমার মাকে কামড় দিলে এলাকাবাসী জড়ো হয়ে শুকুরটি মেরে ফেলে। সেখান থেকে ওই বন কর্মকর্তা আমাকে বিভিন্নভাবে হয়রানি করে যাচ্ছেন।’
সুন্দরবনের কোবাদক ফরেস্ট স্টেশন কর্মকর্তা মো. ফারুকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিপুল সরকার ও তার পরিবারের কয়েকজন বন বিভাগের তালিকাভুক্ত অপরাধী। তিনি দীর্ঘদিন ধরে সুন্দরবনে অপরাধ সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছেন। তার বিরুদ্ধে বন আইনে একাধিক মামলা রয়েছে। তার কার্যক্রমে বাধা দেওয়ায় সে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগসহ সংবাদ সম্মেলনও করেছে। আজ তার ঘের হতে গরানের কচা জব্দ করতে সক্ষম হয়েছি।’