কদিন পরই বড় ভাইয়ের বিয়ে। বিয়ের আগে গায়েহলুদে যাবে বলে নতুন শাড়ি কিনেছিল প্রীতি সাহা। কিন্তু বিয়ে আর গায়েহলুদের আগেই বিদায় নিতে হলো প্রীতি সাহাকে। তাই তার শেষ বিদায়ে অনেক যত্ন করে তার গায়ে জড়িয়ে দেওয়া হয় হলুদরাঙা সেই শাড়িটি। গতকাল শুক্রবার রাতে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় প্রীতি।
প্রীতি সাহা ওরফে অন্বেষা ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলা নিয়ামতপুর ইউনিয়নের বারইপাড়া গ্রামের স্কুলশিক্ষক তপন কুমার সাহার একমাত্র মেয়ে। প্রীতি কালীগঞ্জ শহরের সরকারি মাহতাব উদ্দীন ডিগ্রি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। তার মা শিপ্রা সাহাও একই উপজেলার মল্লিকপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক।
প্রীতির ভাই সবুজ কুমার সাহা বলেন, ‘আমার বিয়ে উপলক্ষ করে ছোট বোন খুব আনন্দ করছিল। গায়েহলুদে যাবে বলে শাড়ি কিনেছিল। কিন্তু তার আগেই আমার বোনকে চলে যেতে হবে না ফেরার দেশে, তা আমরা ভাবতেও পারিনি। তবে শেষবিদায়ের আগে তার গায়ে তার কেনা পছন্দের হলুদরাঙা শাড়িটি জড়িয়ে দেওয়া হয়।’
প্রীতির শিক্ষক মিজানুর রহমান বলেন, ‘প্রীতি শুরু থেকে মেধাবী ছিল। কলেজের ইয়ার ফাইনাল পরীক্ষায় তৃতীয় স্থান অধিকার করেছে। তার চলে যাওয়াতে আমরা সবাই শোকাহত।’