ঝিনাইদহের সদর উপজেলায় মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে। আজ বুধবার সকালে উপজেলার কোদালিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, ঝিনাইদহ সদর উপজেলার কোদালিয়া গ্রামে মাসুদ কাজী গ্রুপ এবং সোহেল মুন্সি ও রিয়াজ মুন্সি গ্রুপের বিরোধ রয়েছে। এসব গ্রুপের লোকজন বিএনপির কর্মী, সমর্থক। সম্প্রতি মাসুদ কাজী গ্রুপের অনুগত শোয়েব নামের এক ব্যক্তির পুকুরের মাছ বৃষ্টিতে ভেসে পাশের ধানের জমিতে চলে যায়। সোহেল মুন্সি ও রিয়াজ মুন্সি গ্রুপের লোকজন ভেসে যাওয়া মাছ ধরার জন্য জাল পাতেন। মাসুদ কাজী গ্রুপের অলিয়ার রহমান ও তাঁর ভাই শোয়েব তাঁদের মাছ ধরতে নিষেধ করে জাল তুলে নিতে বলেন। এ নিয়ে গতকাল মঙ্গলবার দুই পক্ষের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডা হয়। এ ঘটনার জেরে গতকাল বিকেলে শোয়েবের ওপর প্রতিপক্ষ সোহেল মুন্সি ও রিয়াজ মুন্সি গ্রুপের লোকজন হামলা করেন। স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। এই হামলা ঘিরে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। আজ সকাল ১০টার দিকে দুই গ্রুপের লোকজন আবার সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে উভয় পক্ষের নারীসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়। পরে তাদের উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহতদের মধ্যে আবু সাঈদ, অলিয়ার, শোয়েব, অহিদ ও নুরুলকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
হাসপাতালে ভর্তি আহত অলিয়ার বলেন, ‘আমার ভাই শোয়েব তার পুকুরে মাছ ছাড়ে। কিন্তু বৃষ্টিতে পুকুর ভেসে পাশের ধানের জমিতে মাছ চলে যায়। তখন আমাদের প্রতিপক্ষ সোহেল মুন্সি ও রিয়াজ মুন্সির লোকজন মাছ ধরতে এলে তাদের নিষেধ করায় তারা আমাদের ওপর হামলা করে।’
এ বিষয়ে ঝিনাইদহ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, এ ঘটনায় থানায় এখনো কেউ লিখিত অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।