জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলায় ছাত্রী ভর্তিকে কেন্দ্র করে দুই মাদ্রাসা সমর্থকদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে দুই পক্ষের অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এক মাদ্রাসাশিক্ষকসহ ছয়জনকে আটক করা হয়েছে।
আজ রোববার (১১ মে) দুপুরে উপজেলার গাইবান্ধা ইউনিয়নের কড়ইতলা নামাপাড়া এলাকায় এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কইড়তলা নামাপাড়া এলাকায় রাবিয়া বসরি মহিলা মাদ্রাসাটি (হিফজখানা) স্থানীয় বাসিন্দা মফিজুর রহমান (৪২) পরিচালনা করেন। একই এলাকায় স্থানীয় বাসিন্দা ওবায়দুল ইসলাম (৪৫) জামিয়া সুলতানিয়া রওজাতুর কোরআন নামে আরেকটি মহিলা মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠা করেন। মাদ্রাসায় ছাত্রী ভেড়াতে পাঠদানের বিষয়ে মফিজুর রহমান এবং ওবায়দুল ইসলাম প্রায়ই একে অন্যের বিরুদ্ধে বিরূপ মন্তব্য করেন। গতকাল শনিবার রাতে মফিজুর রহমানের সঙ্গে ওবায়দুল ইসলামের হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এর জের ধরে আজ দুপুরে দুই পক্ষের সমর্থকেরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন।
রাবিয়া বসরি মহিলা মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক মফিজুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘২০১২ সাল থেকে আমি মাদ্রাসাটি পরিচালনা করে আসছি। প্রতিবেশী ওবায়দুল ইসলাম তাঁর মাদ্রাসায় ছাত্রী ভেড়াতে দীর্ঘদিন ধরে আমার বিরুদ্ধে নানা ধরনের অপবাদ ছড়াচ্ছেন। এ নিয়ে এলাকায় একাধিকবার সালিস-বৈঠক হয়েছে। আমি থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওবায়দুল আমাকে মারধর করেছে। তার লোকজন নিয়ে আমার লোকজনের ওপর হামলা চালিয়েছে। ইসলামপুর হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এলে আমাকেসহ আমার পাঁচ সমর্থককে আটক করেছে পুলিশ।’
জামিয়া সুলতানিয়া রওজাতুল কোরআন মহিলা মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক ওবায়দুল ইসলাম বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ ঠিক নয়। মূলত আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার করা হচ্ছে। আমাকে ও আমার লোকজনকে মারধর করা হয়েছে।’
গাইবান্ধা ইউনিয়ন বিট পুলিশিংয়ের কর্মকর্তা ও ইসলামপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আরিফে রাব্বানী বলেন, ‘ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা না করার জন্য সেখানকার লোকজনদের নিয়েই আলোচনা করেছি।’
ইসলামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইফুল্লাহ সাইফ বলেন, ‘আহতদের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পেলে আইনানুসারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ছয় ব্যক্তিকে থানায় আনা হয়েছে।’