অন্তর্বর্তী সরকারের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেছেন, ‘যাঁরা ২০১৮ সালের বিখ্যাত লাইলাতুল ইলেকশন বা রাতের ভোটের দায়িত্বে ছিলেন তাঁদের প্রত্যেককে অপসারণ করা হয়েছে।’
আজ শনিবার জামালপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সভাকক্ষে সরকারি কর্মকর্তা এবং অংশীজনদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় উপদেষ্টা এ কথা বলেন। জেলা প্রশাসক হাছিনা বেগমের সভাপতিত্বে সভায় পুলিশ প্রশাসন, নির্বাচন কর্মকর্তাসহ রাজনৈতিক নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
ফাওজুল কবির বলেন, ‘এবার নির্বাচনে যাঁরা দায়িত্বে থাকবেন, তাঁরা নূরুল হুদার (সাবেক সিইসি) কথা চিন্তা করবেন। যাঁরা ২০১৮ সালে রাতের ইলেকশন করে মনে করেছিলেন, আমরা তো পার পেয়ে গেছি। তাঁরা অনেকেই অতিরিক্ত সচিব হয়ে গেছেন। নানা রকম সুবিধা পেয়েছেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কিন্তু তাঁদের শেষ রক্ষা হয় নাই। কারণ হচ্ছে, আমরা সবাই খুব শক্তিহীন মানুষ। আমাদের আসল শক্তিটা হচ্ছে জনগণের কাছে।’
উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘এখনো শুনতে পারছি—নির্বাচনে কে জিতবে না জিতবে, কার জোর বেশি না বেশি। এটা যাচাই করা সরকারি কর্মকর্তার কাজ না। আমাদের ধারণা অমুক জিতবে, সুতরাং এখন থেকে তার ইয়ে করতে হবে, এটা কিন্তু সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। এবারের নির্বাচন ভিন্ন, সম্পূর্ণ ভিন্ন নির্বাচন। নির্বাচনে আওয়ামী লীগ আসতে পারবে কী পারবে না, এটা নির্বাচন কমিশন নির্ধারণ করবে। এটা প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন। আমরা জানি ওই দলের একটা জনসমর্থন আছে। তাঁরা কাকে ভোট দেবেন আপনি জানেন না, আমরা কেউ জানি না।’
যাঁদের বয়স ১৮ থেকে ৩৫ তাঁদের নিয়ে সবচেয়ে বড় অনিশ্চয়তা রয়েছে উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, ‘তাঁরা গত ১৬ বছর ভোট দিতে পারেন নাই। তাঁরা কাকে ভোট দেবেন, আপনি-আমি জানি না। এই জন্য মেহেরবানি করে বলি, কে জিতবে না জিতবে—এটা সরকারি যাঁরা নির্বাচনের দায়িত্বে থাকবেন, তাঁদের নির্ধারণের কাজ না। যে-ই জিতুক, তাঁর সঙ্গেই আমাদের কাজ করতে হবে। কাউকে নির্বাচিত করা আমাদের কাজ না। যিনি নির্বাচিত হবেন, তাঁর সঙ্গে কাজ করাই আমাদের কাজ। নির্বাচনের দায়িত্বটা কঠিন দায়িত্ব। কঠিন অগ্নিপরীক্ষা জাতির জন্য। এটা কিন্তু সঠিকভাবে পালন করতে হবে। যদি না হয়, তাহলে নূরুল হুদার যে পরিণতি হয়েছে, সেই পরিণতি হবে। আগের ডিসি-এসপিদের যে পরিণতি হয়েছে সেই পরিণতি হবে।’