হবিগঞ্জ শহরের মহিলা কলেজ রোড এলাকার হরিজনপট্টিতে চাঁদার টাকা না পেয়ে একটি বাসায় হামলা ও ভাঙচুর চালিয়েছেন একদল যুবক। এতে এক নারীসহ দুজন আহত হয়েছেন। পরে স্থানীয়রা দুই যুবককে গণপিটুনি দিয়ে আটকে রেখে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর হাতে তুলে দেয়। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল শনিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে।
আহতদের অভিযোগ, এনামুল হক সাকিবের নেতৃত্বে কয়েক যুবক বাবুল হরিজনের কাছে মোটা অঙ্কের চাঁদা দাবি করেন। বাবুল টাকা দিতে অস্বীকার করলে তাঁরা বাসায় ঢুকে হামলা ও ভাঙচুর চালান। এ সময় তাঁরা বাবুল এবং এক নারীকে মারধর করে আহত করেন। তাঁদের চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে দুই যুবককে আটক করে।
আটককৃতরা হলেন পুরান মুন্সেফী এলাকার হাবিবুর রহমান রিয়াদ এবং ২ নম্বর পুল এলাকার রাব্বি। তবে মূল অভিযুক্ত সাকিবসহ কয়েকজন পালিয়ে গেছেন।
স্থানীয়দের জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃতরা নিজেদের ছাত্রদল নেতা পরিচয় দিয়ে জানান, এনামুল হক সাকিবের নেতৃত্বেই এই চাঁদাবাজির ঘটনা ঘটেছে। এলাকাবাসীর দাবি, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে একটি সংঘবদ্ধ চক্র চাঁদাবাজি ও ভয়ভীতি দেখিয়ে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে। এর আগেও তারা গ্রেপ্তার হয়েছে। কিন্তু আইনের ফাঁক গলে বেরিয়ে এসে একই অপরাধে পুনরায় লিপ্ত হচ্ছে। বিশেষ করে মধ্যবিত্ত পরিবারগুলো তাদের প্রধান লক্ষ্যে পরিণত হয়েছে।
সচেতন মহল বলছে, হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার এ এম এন সাজেদুর রহমান মাদক ও চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ ঘোষণা করলেও এই চক্র এখনো সক্রিয়। তাদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা জরুরি।
হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি এ কে এম শাহাবুদ্দিন শাহীন বলেন, ‘একদল যুবক হরিজনপট্টিতে চাঁদাবাজির চেষ্টা করলে স্থানীয়রা দুজনকে আটক করে আমাদের কাছে হস্তান্তর করে। ভুক্তভোগীরা মামলা করলে তাঁদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা দেওয়া হবে। আর যদি মামলা না হয়, তাহলে নিয়মিত মামলায় আদালতের মাধ্যমে তাঁদের কারাগারে পাঠানো হবে।’