গোপালগঞ্জ শহরের আটতলাবিশিষ্ট ইউনুস টাওয়ারের ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়ে মারা যাওয়া তরুণীর পরিচয় মিলেছে। নিহতের নাম জোবাইদা খানম (২০)। তিনি গোপালগঞ্জ সরকারি বঙ্গবন্ধু কলেজের একাদশ শ্রেণির মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থী ও পার্শ্ববর্তী নড়াইল জেলার নড়াগাতি থানার পানিপাড়া এলাকার মিসকাত মোল্লার মেয়ে। জোবাইদা তার মা, বাবা ও ভাইয়ের সঙ্গে গোপালগঞ্জ শহরতলির ঘোষেরচর এলাকার ফরিদা বেগমের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন।
জোবাইদার বাবা মিসকাত মোল্লার বরাত দিয়ে গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনিচুর রহমান জানান, ছেলে-মেয়ের লেখা পড়া করানোর জন্য পরিবারকে নিয়ে গোপালগঞ্জে বাসা ভাড়া করে থাকতেন মিসকাত মোল্লা। নড়াইলে থাকাকালীন এসএসসি পরীক্ষার সময়ে সেখানকার একটি ছেলের সঙ্গে তাঁর মেয়ের সম্পর্কের বিষয়টি জানতে পারেন। তিন মাস আগে জোবাইদার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি নিয়ে নেন তাঁর বাবা।
গতকাল শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বাবার কাছে বারবার মোবাইল চায় জোবাইদা। তাকে ঈদের পরে মোবাইল দেওয়া হবে বলে জানায় তার পরিবার। এ কারণে রাগ করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায় ওই শিক্ষার্থী। পরে দুপুরের দিকে শহরের ব্যাংকপাড়া এলাকার চাঁদমারী সড়কের আটতলাবিশিষ্ট ইউনুস টাওয়ারের ছাদে উঠে সেখান থেকে লাফিয়ে পড়ে আত্মহত্যা করেছে বলে ধারণা পুলিশের।
জোবাইদার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে বলে জানান ওসি আনিচুর।
গতকাল দুপুরের দিকে ইউনুস টাওয়ারের পাশে মহিদুল ইসলাম বিশ্বাসের বাড়ির টিনের চালায় হঠাৎ করে বিকট শব্দ হয়। শব্দে বাড়ির লোকজন ঘর থেকে বের হয়ে উঠানে ওই তরুণীকে সংকটাপন্ন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেন তাঁরা। কিছু সময়ের মধ্যে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।