গোপালগঞ্জে সংঘর্ষ-পরবর্তী উদ্ভূত পরিস্থিতির ধীরে ধীরে উন্নতি হচ্ছে। শহরের রাস্তায় জনসমাগম বাড়তে শুরু করেছে, খুলছে দোকানপাট। কারফিউ ও ১৪৪ ধারা তুলে নেওয়ার পর জনমনে ফিরেছে কিছুটা স্বস্তি। তবে এখনো গ্রেপ্তার আতঙ্কে অনেক যুবক, এমনকি বয়স্ক ব্যক্তিরাও এলাকা ছেড়ে অন্যত্র সরে গেছেন।
সোমবার সকালে জেলা শহরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ওষুধ, খাবারসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দোকানপাট খুলতে শুরু করেছে। তবে কেউ কেউ এখনো পুলিশি তৎপরতায় উদ্বিগ্ন হয়ে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান খোলার সাহস পাচ্ছেন না।
ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। খোলা রয়েছে সরকারি অফিস ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, তবে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি ছিল কম। অনেক অভিভাবক এখনো সন্তানদের স্কুলে পাঠাতে সাহস পাচ্ছেন না।
এদিকে গণগ্রেপ্তারের অভিযোগ তুলে বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনগুলো সকাল ১০টায় গোপালগঞ্জ জেলা দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে।
উল্লেখ্য, গত বুধবার এনসিপির পদযাত্রা ও পথসভা ঘিরে গোপালগঞ্জে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এনসিপির অভিযোগ, আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের শত শত নেতা-কর্মী তাদের কর্মসূচিতে হামলা চালায়। পরে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে। ওই দিনভর চলা সংঘর্ষে পাঁচজন নিহত হন। আহত হন পুলিশ, সাংবাদিকসহ শতাধিক মানুষ।
পরে এ ঘটনায় চারটি হত্যা মামলাসহ মোট আটটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। আসামি করা হয়েছে প্রায় ৮ হাজার ৪০০ জনকে। এ পর্যন্ত গ্রেপ্তার হয়েছেন ৩১০ জন।