গাজীপুরের শ্রীপুরে মাদ্রাসায় শিক্ষকের এলোপাতাড়ি বেত্রাঘাতে এক শিশুশিক্ষার্থীর চোখ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আজ বৃহস্পতিবার (৯ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় ভুক্তভোগী শিশুর বাবা উজ্বল মণ্ডল এ বিষয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। শিশুটির পরিবারের দাবি, গত ৮ সেপ্টেম্বর ভোররাতে বরমী ইউনিয়নের আব্দুর রহমান বিন আউফ (রা.) তালিমুল কোরআন মাদ্রাসায় বেত্রাঘাত করার ঘটনাটি ঘটে।
অভিযুক্ত মাদ্রাসাশিক্ষক মো. শরিফুল ইসলাম (২৫) ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইল উপজেলার শফিকুল ইসলামের ছেলে।
ভুক্তভোগী শিশুশিক্ষার্থীর বাবা উজ্জ্বল মণ্ডল জানান, সেদিন সবকে একটু ভুল হওয়ায় শিক্ষক শরিফুল রেগে গিয়ে তাঁর ছেলেকে এলোপাতাড়ি বেত্রাঘাত করেন। একপর্যায়ে বেতের আঘাত চোখে লাগলে চোখ ফেটে রক্ত বের হতে থাকে। পরে মাদ্রাসার এক শিক্ষক তাঁকে ফোন করে ছেলের চোখের সমস্যার কথা জানিয়ে দ্রুত মাদ্রাসায় যেতে বলেন। সেখানে গিয়ে ছেলের চোখের অবস্থা মারাত্মক খারাপ দেখে দ্রুত তাকে স্থানীয় রওনক জাহান চক্ষু হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করানো হয়। সেখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে চিকিৎসক জানান, ছেলের চোখের অবস্থা ভালো না। এরপর তাকে ঢাকার ইসলামিয়া হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়েছে। উজ্জ্বল মণ্ডল আরও জানান, তাঁর ছেলের চোখের অবস্থা ভালো না। ডান চোখে কোনো কিছু দেখছে না।
অভিযুক্ত মাদ্রাসাশিক্ষক মো. শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘কয়েকটি বেত্রাঘাত করেছি। বেত্রাঘাত করতে গিয়ে হঠাৎ করে চোখে আঘাত লাগে। এতটা সমস্যা হবে, বুঝতে পারিনি।’
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহম্মদ আব্দুল বারিক বলেন, ‘এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’