গাজীপুর-১ (কালিয়াকৈর-সিটি আংশিক) আসনে দলীয় মনোনয়ন ঘোষণাকে কেন্দ্র করে কালিয়াকৈরে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। এ সময় বেশ কয়েকটি নির্বাচনী প্রচার অফিসে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে।
রোববার (৭ ডিসেম্বর) বিকেলে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী, কালিয়াকৈর পৌরসভার সাবেক মেয়র মুজিবুর রহমান এবং ‘মনোনয়নবঞ্চিত’ জেলা বিএনপির সদস্যসচিব ইশরাক সিদ্দিকীর সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, ইশরাক সিদ্দিকীর সমর্থকেরা আজ বিকেলে উপজেলার রাখালিয়াচালা এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল ডাকে। পূর্বঘোষিত এ কর্মসূচিতে যোগ দিলে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী মুজিবুর রহমানের ২০-২৫ জন সমর্থক তাঁদের ওপর হামলা চালান। এতে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। এ সময় হামলাকারীদের কাছ থেকে ১০টি মোটরসাইকেল আটক করে তাতে অগ্নিসংযোগ করেন ইসরাকের সমর্থকেরা। পরে আহতদের উদ্ধার করে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অগ্নিসংযোগের খবর পেয়ে কালিয়াকৈর ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা গিয়ে আগুন নেভান।
ইশরাক সিদ্দিকীর দাবি, ‘এই আসনের মনোনয়ন ঘিরে এলাকার স্থানীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ কাজ করছিল। তারই প্রতিফলন হিসেবে আজকে বিক্ষোভ করার কথা ছিল। কিন্তু বিএনপি মনোনীত প্রার্থী মুজিবুর রহমানের অনুসারীরা তাদের ওপর হামলা চালায়। এ সময় হাতেনাতে কয়েকজনকে আটকও করা হয়। এ ঘটনার পর পুরো এলাকাজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।’
এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী মুজিবুর রহমানকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ধরেননি। তবে তাঁর এক সমর্থক নাম প্রকাশ না করার শর্তে দাবি করেন, তাঁরা গণসংযোগ করতে গেলে ইশরাক সিদ্দিকীর লোকজনের সঙ্গে তাঁদের কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে তাঁদের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
গাজীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) আশফাকুজ্জামান বলেন, বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। দুই পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে শান্তি বজায় রাখার ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার মুজিবুর রহমানকে মনোনয়ন দেয় বিএনপি। এই আসনে ইশরাক সিদ্দিকীসহ বেশ কয়েকজন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন।