বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম বলেছেন, ‘আমাদের লক্ষ্য কাউকে শিবিরে যুক্ত করা নয়; বরং ভালো মানুষ ও দক্ষ শিক্ষার্থী গড়ে তোলাই আমাদের প্রধান লক্ষ্য। একসময় কিছু দালাল রাজনীতিবিদ আমাদের নিয়ে মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে নানা অপপ্রচার করেছিলেন। আজকের শিক্ষার্থীরা সেই দালালদের বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে সত্য-মিথ্যার পার্থক্য প্রমাণ করেছেন।’ আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে গাইবান্ধা সরকারি কলেজ মাঠে অনার্স প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের নবীনবরণ ও ক্যারিয়ার গাইডলাইন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শিবির সভাপতি বলেন, আজকের শিক্ষার্থীরাই আগামী দিনের দেশ-জাতির নেতৃত্ব দেবেন। এ কারণে পড়াশোনায় মনোযোগী করার লক্ষ্যেই শিবিরের কার্যক্রম পরিচালিত হয়। তিনি বলেন, ‘ভারত থেকে কিছু শব্দ ছড়িয়ে বাংলাদেশে তাদের নিয়োগ করা দালালদের মাধ্যমে শিবিরকে টার্গেট করা হয়, ট্যাগিং করা হয়। এভাবে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা চলে। কিন্তু আজকের সমাজ ও শিক্ষার্থীরা এখন আর এসব বিভ্রান্তিতে পড়েন না। আজকের শিক্ষার্থীরা অপপ্রচারকারী সেই দালালদের বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে সত্য-মিথ্যার পার্থক্য তুলে ধরেছে। আমরা শিক্ষার্থীদের জন্য কাজ করে যাচ্ছি।’
অনুষ্ঠানের আয়োজন করে গাইবান্ধা সরকারি কলেজ ক্যাম্পাস শাখা শিবির। উদ্বোধনী বক্তব্য দেন কলেজ শাখার সভাপতি মাহমুদুল হাসান মামুন।
গাইবান্ধা জেলা ছাত্রশিবিরের সভাপতি ফেরদৌস সরকার রুম্মানের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন রংপুর মেডিকেল কলেজ শিবির শাখার সভাপতি ডা. মোহাম্মদ শাওন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিবির নেতা ড. রহিদুল ইসলাম নিরব, কেন্দ্রীয় প্ল্যানিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট সম্পাদক মো. রিয়াজুল ইসলাম, জেলা আমির আব্দুল করিম, সাবেক জেলা আমির ডা. আব্দুর রহিম সরকার এবং সাবেক জেলা সভাপতি সরকার হাশেমুজ্জামানসহ অনেকে।
অনার্স প্রথম বর্ষের ১ হাজার ২০০ শিক্ষার্থী নিবন্ধন করে অনুষ্ঠানে অংশ নেন। নবীনবরণ ও ক্যারিয়ার গাইডলাইন প্রোগ্রামে প্রায় দেড় হাজার শিক্ষার্থীর উপস্থিতি ছিল। দীর্ঘ ২০ বছর পর গাইবান্ধা সরকারি কলেজ মাঠে উন্মুক্তভাবে শিবিরের কোনো আয়োজন অনুষ্ঠিত হলো।