ফরিদপুরের সালথায় স্থানীয় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষ শুরু হয়েছে। সকাল ৭টা থেকে শুরু হওয়া সংঘর্ষ বেলা ১১টা পর্যন্ত থামেনি। এতে একটি ইউনিয়নের বাসিন্দারা জড়িয়ে পড়েছে। এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত শতাধিক মানুষ আহত হয়েছে। এ ছাড়া বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটছে।
আজ শনিবার সকাল ৭টা থেকে উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের বালিয়াগট্টি বাজারে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরে আশপাশের কয়েকটি এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে সংঘর্ষ।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, ওই ইউনিয়নের নুরু মাতুব্বর ও জাহিদ মাতুব্বরের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছে। দুজনই ফরিদপুর-২ আসনের বিএনপির প্রাথমিক তালিকাভুক্ত প্রার্থী ও বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ ইসলামের সমর্থক।
তাঁরা সকাল ৭টার দিকে দেশীয় অস্ত্র ঢাল, সড়কি ও ইটপাটকেল নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এ সময় আরও কয়েক গ্রামের লোকজন এই সংঘর্ষে যোগ দেয়। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ১০০ জন আহত হয়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত আহত ব্যক্তিদের অনেকে বাড়িতে আটকা পড়েছেন এবং বেশ কিছু বাড়িঘর, দোকানপাট ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়।
হাবেলি গট্টি গ্রামের সত্তরোর্ধ্ব বাসিন্দা আলেপ শেখ আহত হয়ে নিজ বাড়িতে আটকা রয়েছেন। তিনি নুরু মাতুব্বর গ্রুপের সমর্থক। বেলা সাড়ে ১১টায় কবির হোসেন নামে তাঁর এক স্বজন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার শ্বশুর বৃদ্ধ মানুষ, সকালে বাড়িতে ছিলেন। তাঁর পায়ে একাধিক কোপ দেওয়া হয়েছে। বাড়ি থেকে উদ্ধারও করা যাচ্ছে না।’
এদিকে জাহিদ মাতুব্বর গ্রুপের সমর্থক ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল কালামের নেতৃত্বে বালিয়া বাজার-সংলগ্ন ওমর ফারুক নামের এক ব্যক্তির পাঁচটি গরু লুট করে নিয়ে যাওয়ার একটি ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছে।
ওসির দায়িত্বে থাকা সালথা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মারুফ হাসান বলেন, ‘পুলিশ ও সেনাবাহিনী মিলে সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে কাজ করছি। এ ব্যাপারে পরে বিস্তারিত জানাতে পারব।’