কিশোরগঞ্জের ভৈরবে এগারসিন্দুর ট্রেনের সঙ্গে কনটেইনারবাহী ট্রেনের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে বহু হতাহতের আশঙ্কা করা হচ্ছে। আজ সোমবার বেলা ৩টা ৪৫ মিনিটের দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
ফায়ার সার্ভিসের কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণকক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এখন পর্যন্ত ১৫টি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। চারটি ইউনিট উদ্ধারকাজে যুক্ত হয়েছে।
তবে কিশোরগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার আবু যর গিফারি আরও একটি লাশ উদ্ধার করার কথা জানিয়েছেন।
ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা (টিএইচও) ডা. বুলবুল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘হাসপাতালে আনা আহতদের মধ্যে তিনজন মারা গেছেন। কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর।’
তিনি বলেন, ‘এগারসিন্দুর ট্রেনকে কনটেইনারবাহী ট্রেন এসে হিট করেছে। পার্শ্ব সংঘর্ষ বা সাইড কোলিশন হয়েছে। ডিজরিগার্ড অব সিগন্যালে (সিগন্যাল অমান্য) ছিল মালবাহী ট্রেনটি।’
তবে এখন পর্যন্ত হতাহতের কোনো সঠিক সংখ্যা জানাতে পারেননি মহাব্যবস্থাপক।
তিনি বলেন, স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে। তারা সহযোগিতা করছে। ভৈরবে রেলওেয়ের স্থানীয় ইউনিটও উদ্ধারে যোগ দিয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, অসংখ্য যাত্রী ট্রেনের নিচে আটকা পড়েছেন। সেখানে অনেকে মারা গেছেন। ক্ষতিগ্রস্ত কোচগুলোয় অনেকেই আহত অবস্থায় পড়ে আছেন। ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছেছে। তারা উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছে।
রেলওয়ে সূত্র জানিয়েছে, ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া একটি কনটেইনারবাহী ট্রেন ভৈরব স্টেশনে প্রবেশ করছিল। এর আগমুহূর্তে ভৈরব থেকে এগারসিন্দুর ট্রেন ঢাকার দিকে রওনা হয়েছিল।
জগন্নাথপুর রেল ক্রসিং এলাকায় এগারসিন্দুর ট্রেনের শেষের দু-তিনটি বগিতে কনটেইনারবাহী ট্রেনের ইঞ্জিন আঘাত করে। এতে এগারসিন্দুর ট্রেনের শেষের দু-তিনটি বগি ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়।