হোম > সারা দেশ > ঢাকা

বুয়েটের ই-রিকশা চলবে ধানমন্ডি, পল্টন ও উত্তরায়

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বুয়েটের নকশা করা ই-রিকশা। ছবি: সংগৃহীত

আগামী আগস্ট মাস থেকে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) সহযোগিতায় ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের তিন এলাকায় পরীক্ষামূলকভাবে চালু হতে যাচ্ছে ই-রিকশা। রাজধানীর উত্তরা, ধানমন্ডি ও পল্টন এলাকায় ই-রিকশা চালু হবে। আজ শনিবার (২৮ জুন) ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) দেওয়া বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এদিকে দেশের সিটি করপোরেশন এলাকায় ই-রিকশা চলাচলে শৃঙ্খলা আনতে আদালতের নির্দেশনা অনুসরণ করে নতুন নিয়মকানুন কার্যকর করতে যাচ্ছে সরকার। নতুন প্রবিধান অনুসারে সিটি করপোরেশনের অধীনে রিকশা ও চালকদের নিবন্ধন এবং লাইসেন্স বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। একই সঙ্গে বাধ্যতামূলক করা হয়েছে চালকদের প্রশিক্ষণ, ফিটনেস সনদ এবং দুর্ঘটনা বিমা গ্রহণও।

ডিএনসিসির বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা যায়, তিন চাকার স্বল্পগতির ব্যাটারিচালিত রিকশার জন্য নির্ধারিত একটি স্ট্যান্ডার্ড মডেলের ডিজাইন ও স্পেসিফিকেশন অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এটি দেশের সব সিটি করপোরেশনকে পাঠানো হয়েছে, যাতে তারা ডিজাইন অনুযায়ী গাড়ি যাচাই-বাছাই করে নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু করতে পারে।

ই-রিকশা ও চালকদের তথ্য সংরক্ষণের লক্ষ্যে একটি ইউনিফাইড ফরম তৈরি করে ডেটাবেইস তৈরির কাজও শুরু হয়েছে। এই তথ্যভান্ডারে রিকশার মালিক, চালক, বিমা, লাইসেন্স ও ফিটনেসসংক্রান্ত সব তথ্য অন্তর্ভুক্ত থাকবে। অতিরিক্ত সচিব এবং বিআরটিএ, বুয়েট, বিএসটিআইসহ বিভিন্ন কারিগরি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে একটি কারিগরি কমিটি গঠন কারা হবে, যারা প্রস্তুত করা ই-রিকশার টাইপ অনুমোদন করবে।

ই-রিকশা চলাচলসংক্রান্ত প্রবিধান থেকে জানা যায়, প্রতিটি রিকশার জন্য ইউনিক রেজিস্ট্রেশন নম্বর ও নম্বরপ্লেট সরবরাহ করবে সংশ্লিষ্ট সিটি করপোরেশন। একটি জাতীয় পরিচয়পত্র ব্যবহার করে একজন ব্যক্তি সর্বোচ্চ তিনটি রিকশা নিবন্ধন করতে পারবেন। প্রতিটি ই-রিকশার দৈর্ঘ্য সর্বোচ্চ ২৫০ সেন্টিমিটার এবং প্রস্থ ১১০ সেন্টিমিটার নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ছাড়া এসব রিকশা শুধু অনুমোদিত কারখানা বা ওয়ার্কশপে প্রস্তুত করা হবে। সেগুলোর প্রতিটিকে নির্ধারিত গাইডলাইনের আলোকে টাইপ-অনুমোদন নিতে হবে।

তিন চাকার এই ই-রিকশার চালকের লাইসেন্স পেতে হলে ন্যূনতম বয়স ১৮ বছর হতে হবে এবং বাংলা পড়তে ও লিখতে জানতে হবে। চালকদের সিটি করপোরেশন নির্ধারিত সরকারি হাসপাতাল থেকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার সনদ গ্রহণ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এ ছাড়া প্রতি পাঁচ বছর পর লাইসেন্স নবায়নের সময় চালকদের ড্রাইভিং পরীক্ষা দিতে হবে। চালকদের জন্য সড়ক নিরাপত্তা, ট্রাফিক আইন, রোড মার্কিং, ট্রাফিক সাইন ও ব্যাটারি রক্ষণাবেক্ষণ বিষয়ে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করাও বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এই প্রশিক্ষণ কার্যক্রম বাস্তবায়নে স্থানীয় সরকার বিভাগের তত্ত্বাবধানে ব্র্যাককে অংশীদার করা হয়েছে।

নতুন নিয়ম অনুসারে চালকদের জন্য ব্যক্তিগত দুর্ঘটনা বিমা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। চালক কিংবা মালিক যেকোনো পক্ষ এই বিমার প্রিমিয়াম পরিশোধ করতে পারবেন। বিমার কভারেজ সচল আছে কি না, তা সিটি করপোরেশন নিয়মিতভাবে পর্যবেক্ষণ করবে এবং নবায়নের কপি নিবন্ধন কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দিতে হবে।

বিমা গ্রহণসংক্রান্ত সব কাগজপত্র চালকের লাইসেন্স ফাইলে সংযুক্ত রাখতে হবে। ইচ্ছুক মালিকগণ অতিরিক্ত বিমাও নিতে পারবেন, যার বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধিতে সিটি করপোরেশন বিভিন্ন কার্যক্রম হাতে নেবে। এ ছাড়া নিবন্ধিত প্রতিটি রিকশার দুই বছর পরপর ফিটনেস পরীক্ষা দিতে হবে এবং নবায়নের জন্য নির্ধারিত ফি জমা দিতে হবে। ফিটনেস সনদ না থাকলে সংশ্লিষ্ট যানবাহন রাস্তায় চলাচল করতে পারবে না।

সড়কে চলাচলের জন্য প্রবিধানে উল্লেখ করা হয়েছে, ব্যাটারিচালিত রিকশা শুধু সিটি করপোরেশন ও সংশ্লিষ্ট ট্রাফিক বিভাগের নির্ধারিত রাস্তায় চলাচল করতে পারবে। হাইওয়ে, এক্সপ্রেসওয়ে, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে কিংবা বাস চলাচলের জন্য নির্ধারিত সড়কে এসব রিকশার চলাচল সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। যানবাহন নির্ধারিত এলাকার বাইরে চলতে পারবে না। যানজট সৃষ্টি যেন না হয়, সে জন্য চালকদের সর্বদা বাঁ লেনে চলাতে হবে গাড়ি। এ ছাড়া গাড়ির গতি ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৩০ কিলোমিটার নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এলাকায় ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১৫ কিলোমিটার নির্ধারণ করা হয়েছে।

রিকশা চালানোর সময় মোবাইল ফোন ব্যবহার করলে জরিমানাযোগ্য অপরাধ হিসেবে বিবেচিত করা হবে। এই সকল রিকশায় দুজনের বেশি যাত্রী বহন বা অতিরিক্ত মালপত্র পরিবহন পারবে না। সরকারি ভবন, কূটনৈতিক এলাকা ও নিরাপত্তা সংবেদনশীল স্থানে এই রিকশা চলাচল করতে পারবে না। নিয়মবহির্ভূতভাবে ওভারটেক বা লেন পরিবর্তনও নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

এ ছাড়া ব্যাটারিচালিত রিকশার পার্কিং ও চার্জিং-সংক্রান্ত ব্যবস্থাপনাও নতুনভাবে নির্ধারণ করা হচ্ছে। সিটি করপোরেশন ও সংশ্লিষ্ট ট্রাফিক বিভাগ ওয়ার্ড বা অঞ্চলভিত্তিক রিকশার সংখ্যা নির্ধারণ করবে। এলাকাভিত্তিক কালার কোড চালু করা হবে, যাতে নিয়ন্ত্রণ সহজ হয়। প্রতিটি ওয়ার্ডে নির্ধারিত পার্কিং এলাকা থাকবে, যেখানে চার্জিং স্টেশন ও ব্যাটারি বিনিময় কেন্দ্র স্থাপন করা হবে ব্যাটারি চার্জের জন্য।

ব্যবহৃত ব্যাটারির রিসাইকেল প্রক্রিয়াও থাকবে নিয়ন্ত্রিত। পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়া কেউ ব্যাটারি ভাঙা, আগুনে গলানো বা পুনঃপ্রক্রিয়াকরণ কার্যক্রম চালাতে পারবে না। ব্যাটারি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো ব্যবহৃত প্লাস্টিক বর্জ্য পরিবেশগত ছাড়পত্রপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে রিসাইকেল করবে।

ব্যাটারি ব্যবহারকারী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে পুরোনো বা অকার্যকর ব্যাটারি পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমোদিত এজেন্ট, ডিলার বা রিসাইকেল কারখানার কাছে হস্তান্তর করতে হবে। নবায়নযোগ্য শক্তি, বিশেষ করে সোলার চার্জিং পদ্ধতি ব্যবহারে উৎসাহ দেওয়া হবে। চালক ও মালিকদের আর্থিক সহায়তা দিতে সহজ শর্তে ঋণ দেবে সরকারি ও বেসরকারি আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো।

জাবিতে শেখ পরিবারের নামে থাকা ৪ হলের নাম পরিবর্তন

সাবেক এমপি শাজাহান খানের মেয়ে ও নুরুন্নবী চৌধুরীর স্ত্রীর নামে দুদকের মামলা অনুমোদন

ধর্ষণের মামলায় গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন ছাত্র রিমান্ডে

নির্বাচনের আগে ডিএমপির ৫০ থানায় নতুন ওসি

যন্ত্রপাতি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে অনন্ত নিটওয়্যারের এমডিসহ চারজনের বিরুদ্ধে ঠিকাদারের মামলা

বাম দলের যমুনা যাত্রা কর্মসূচিতে পুলিশের লাঠিপেটা, আহত ২০

দলবদ্ধ ধর্ষণ ও ভিডিও করে ব্ল্যাকমেল: গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের চার শিক্ষার্থী গ্রেপ্তার

দেশজুড়ে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের দ্বিতীয় দিনের অর্ধদিবস কর্মবিরতি

কর্মচারীদের আন্দোলনে যাওয়া রাষ্ট্রের ব্যর্থতা: রাজেকুজ্জামান রতন

পরকীয়ার সন্দেহ, ডেমরায় স্ত্রী ও শাশুড়িকে যুবকের ছুরিকাঘাত