ভুল চিকিৎসায় জর্ডানের নাগরিক গালফ এয়ারের পাইলট মোহাম্মদ ইউসুফ হাসান আল হেনদির মৃত্যুর ঘটনায় ইউনাইটেড হাসপাতালের চিকিৎসক ওমর ফারুকের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। ওমর ফারুক রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালের চিফ কনসালট্যান্ট অব দ্য ক্রিটিক্যাল কেয়ার মেডিসিন অ্যান্ড ইমার্জেন্সি মেডিসিনের প্রফেসর। আজ মঙ্গলবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ওমর ফারুকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন মৃতের বোন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক তালা এলহেনডি জোসেফানো।
মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আরাফাতুল রাকিব বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে পুলিশ ইনভেস্টিগেশন ব্যুরোকে (পিবিআই) মামলা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। বাদী জোসেফানোর আইনজীবী সাব্বির আহমেদ বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন।
আইনজীবী বলেন, ‘গালফ এয়ারের পাইলট ইউসুফ হাসান আল হেনদি বাংলাদেশে আসার পর অসুস্থ হয়ে ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি হন। গত ৩১ জানুয়ারি হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় তিনি মারা যান। পরদিন ১ ফেব্রুয়ারি গুলশান থানায় হাসপাতালের বিরুদ্ধে মামলা করতে গেলে থানা কর্তৃপক্ষ আদালতে মামলা করার পরামর্শ দেন। তাই আদালতে মামলা করা হয়েছে।’
মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, গত বছরের ১৪ ডিসেম্বর সকালে ওই পাইলটকে গালফ এয়ারের একটি ফ্লাইট শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয়। পরে রাত পৌনে ৩টায় তিনি ফ্লাইট পরিচালনার জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করেন এবং হজরত শাহজালাল বিমানবন্দরের উদ্দেশে হোটেল লা মেরিডিয়ান থেকে রওনা দেন। সাড়ে ৩টায় তিনি হজরত শাহজালাল বিমানবন্দরে পৌঁছান। ভোর ৪টা ১০ মিনিটের দিকে ইমিগ্রেশনের প্রক্রিয়া শুরু হলে তিনি শারীরিকভাবে অসুস্থ বোধ করেন। ভোর ৫টার দিকে তাঁকে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালের ইমার্জেন্সিতে নিয়ে আসা হয়।
হাসপাতালে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রফেসর ওমর ফারুক এবং সঙ্গে থাকা ইন্টার্ন চিকিৎসক ও নার্সরা তাঁর চিকিৎসায় কালক্ষেপণ করতে থাকেন। ইউনাইটেড হাসপাতালের জরুরি বিভাগে পৌঁছানোর পর থেকে দীর্ঘ পাঁচ ঘণ্টা পর্যন্ত তাঁকে কোনো ধরনের চিকিৎসা দেওয়া হয়নি। চিকিৎসা না করায় তিনি দুপুর ১২টা ৮ মিনিটে মারা যান। চিকিৎসক তাঁর দায়িত্বে অবহেলা করেছেন। আর যেটুকু চিকিৎসা করেছেন, তা ভুল চিকিৎসা করেছেন।