জুলাই অভ্যুত্থানের সময় সংগঠিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার রায়ের দিনকে কেন্দ্র করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এলাকায় কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
ট্রাইব্যুনালের সামনের পুলিশ, র্যাব, বিজিবি ও সেনাবাহিনীর সদস্য মোতায়েন রয়েছে। ট্রাইব্যুনালে প্রবেশের সব গেটেই বসানো হয়েছে চেকপোস্ট; পথচারী থেকে আইনজীবী—সবার পরিচয় যাচাই করেই প্রবেশের অনুমতি মিলছে।
আজ সোমবার সরেজমিন সকাল সাড়ে ৮টার দিকে হাইকোর্ট মাজারসংলগ্ন ট্রাইব্যুনালের ফটকে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ, র্যাব ও আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) সদস্যরা সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন। সেনাবাহিনী ও ডিএমপির সাঁজোয়া যান রয়েছে সেখানে। মাজার গেটের সামনে সেনাবাহিনীকে অবস্থান নিতে দেখা যায়। এ ছাড়া রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় পুলিশের একাধিক চেকপোস্ট দেখা যায়। একাধিক এলাকার অভিমুখে যানবাহন চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।
নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা জানান, সম্ভাব্য অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে ‘মাল্টিলেয়ার সিকিউরিটি রিং’ তৈরি করা হয়েছে। আদালতপাড়ায় সাধারণ মানুষের চলাচল সীমিত রাখা হয়েছে।
গত ২৩ অক্টোবর অ্যাটর্নি জেনারেল আসাদুজ্জামানের সমাপনী বক্তব্য শেষে বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদার মামলাটি রায়ের জন্য আজ সোমবার অপেক্ষমাণ রাখেন।
এ মামলায় গত ১০ জুলাই ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনের বিরুদ্ধে পাঁচ অভিযোগে বিচার শুরুর আদেশ দেয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১।
আসামিদের মধ্যে চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন দায় স্বীকার করে রাজসাক্ষী হওয়ার আবেদন করেছেন। তিন আসামির মধ্যে একমাত্র তিনিই কারাগারে গ্রেপ্তার আছেন, বাকি দুজনকে পলাতক দেখিয়ে এ মামলার কার্যক্রম চলেছে।
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠন করা হয়। পুনর্গঠিত ট্রাইব্যুনালে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে প্রথম মামলা হয় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে।