হোম > সারা দেশ > ফরিদপুর

নারীদের হামলায় আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ

নগরকান্দা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি

ফরিদপুরের সালথায় দুই পুলিশ সদস্যের ওপর নারীদের হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। হামলাকারীরা পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হওয়া এক আসামিকে ছিনিয়ে নিয়ে গেছেন বলে জানা গেছে। আজ রোববার দুপুরে উপজেলার যদুনন্দী ইউনিয়নের খারদিয়া গ্রামের ছয়আনি পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। 

পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া আসামি তারা মিয়া (৫৩) খারদিয়ার ছয়আনি পাড়ার বাসিন্দা মৃত মোফাজ্জেল মিয়ার ছেলে। 

থানা সূত্রে জানা গেছে, পুলিশের ওপর হামলায় মামলার আসামি খারদিয়া গ্রামের ছয়আনি পাড়ার তারা মিয়াকে গ্রেপ্তার করে সালথা থানার এসআই নাজমুল ও এএসআই লিয়াকত হোসেন। তাদের গ্রেপ্তার অভিযানের সময় এলাকার কয়েকজন নারী তাদের বাধা দেয়। একপর্যায়ে ১৮ থেকে ২০ জন নারী চড়াও হয়ে ওই দুই পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি করে তাদের কাছ থেকে আসামিকে ছিনিয়ে নেয়। 

এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ফরিদপুরের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (নগরকান্দা সার্কেল) সুমিনুর রহমান বলেন, ‘পুলিশ কর্মকর্তা নাজমুল ও লিয়াকত খারদিয়া গ্রামে গিয়ে আসামি তারা মিয়াকে ধরে ফেলেছিল। কিন্তু তখন ওই এলাকার ১৮ থেকে ২০ জন নারী এগিয়ে এসে পুলিশের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েন। নারীরা দুই ভাগে ভাগ হয়ে দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে ঝাপটে ধরে আলাদা করে ফেলেন। ওই সুযোগে তারা মিয়া পালিয়ে যায়।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘পুলিশের এ অভিযানে কোনো নারী পুলিশ সদস্য না থাকায় নারীদের পক্ষে আসামিকে ছিনিয়ে নেওয়া সহজ হয়েছে।’ 

খারদিয়া গ্রামের বাসিন্দারা বলছে, যদুনন্দী ইউনিয়নে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলমগীর মিয়ার বিরোধ চলে আসছিল। এই বিরোধের জেরে ওই এলাকায় বেশ কয়েকবার সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। গত ২১ এপ্রিলও খারদিয়া এলাকায় এই দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে আহত হন বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য। এ ঘটনায় পরে পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে মামলা হয়। মামলার আসামি হিসেবে ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলমগীর মিয়া গ্রেপ্তার হন। গত বৃহস্পতিবার উভয়েই আদালত থেকে জামিন পেয়ে এলাকায় ফিরে আসেন। 

এদিকে, তারা মিয়া ইউপি চেয়ারম্যান রফিক মোল্যার সমর্থক। তিনিও পুলিশের ওপর হামলার মামলার আসামি। এ ছাড়া তার নামে ২০১৯ সালে একটি এবং ২০২০ সালে দুটি মামলা রয়েছে। চার মামলার এ আসামিকে গ্রেপ্তার করতে গিয়ে নারীদের হামলার শিকার হন ওই দুই পুলিশ সদস্য। 

তবে এ বিষয়ে জানতে যদুনন্দী ইউপি চেয়ারম্যান রফিক মোল্যার মোবাইলে কল দিলে তাঁকে পাওয়া যায়নি। 

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার পত্রিকা অফিসে হামলায় র‍্যাকের নিন্দা

হাদির জানাজা ঘিরে যান চলাচল নিয়ে ডিএমপির নির্দেশনা

তোপখানায় উদীচীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আগুন

হাদির মরদেহ জাতীয় হৃদ্‌রোগ ইনস্টিটিউটে নেওয়া হয়েছে, রাখা হবে হিমঘরে

হাদির জানাজা আগামীকাল বেলা আড়াইটায়, জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায়

‎হাদি হত্যার বিচার দাবিতে জবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিল

বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টার্স ফোরামের নতুন কমিটি

প্রথম আলোর কার্যালয়ের সামনে কর্মীদের মানববন্ধন

হাদির হত্যাকাণ্ডকে ‘ব্যবহার করে’ উচ্ছৃঙ্খলতার নিন্দা গণতান্ত্রিক সংস্কার জোটের

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের ক্ষতিগ্রস্ত ভবন পরিদর্শন আইজিপির