রাজধানীর দক্ষিণখানে টাকা লেনদেন সংক্রান্ত দ্বন্দ্বের মীমাংসা করতে গিয়ে মোসাব্বির হোসেন (২৬) নামের এক সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার ছুরিকাঘাতে নিহত হয়েছেন।
দক্ষিণখান কসাইবাড়ী রেলগেট সংলগ্ন বটতলা এলাকায় বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে ৭টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
ওই সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার দক্ষিণখানের জালাল উদ্দিন আহমেদ সরণি সড়কের ১৫ নং আমিন ভিলার মো. মোতালেব হোসেন ও মোছা. নাসরিন দম্পতির একমাত্র ছেলে। মোসাব্বির সিএনএস নামের একটি কোম্পানিতে কাজ করতেন।
ইঞ্জিনিয়ারের বন্ধু আশিক হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মোসাব্বির হোসেনের এলাকার ছোট ভাই জাবেদ এলাকার নোমান, সিফাত, হিমু, লতিফ, আকাশদের কাছে ২০ হাজার টাকার মতো পাবে। ওই টাকা নিয়ে জাবেদের সঙ্গে ওদের কথা-কাটাকাটি হয়েছে। পরে ওদের গ্যাঞ্জাম মীমাংসা করতে গেলে মোসাব্বিরকে ওরা ছুরিকাঘাত করে। ওকে উদ্ধার করে উত্তরা ক্রিসেন্ট হাসপাতালে নিয়ে গেলে কিছুক্ষণ পর সে মারা যায়।’
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘ক্রিসেন্ট হাসপাতালে আমার বন্ধুটা অনেকক্ষণ বেঁচে ছিল, কিন্তু ওরা (হাসপাতাল) ট্রিটমেন্ট দিতে পারে নাই। পরে মারা গেছে।’
অপর বন্ধু মো. রুবায়েত আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘টাকা পয়সা নিয়ে কথা-কাটাকাটির সময় গাওয়াইর এলাকার নোমান, সিফাত, হিমু, আকাশসহ ওদের ৪০ / ৫০ জন ছিল। পরে ওরা মোসাব্বিরের বুকের ডান পাশে ছুরিকাঘাত করে। তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসলে সে মারা যায়।’
ছুরিকাঘাতে মোসাব্বিরের মৃত্যুর বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন উত্তরা ক্রিসেন্ট হাসপাতালের জেনারেল ম্যানেজার তোফাজ্জল হোসেন।
এ বিষয়ে দক্ষিণখান থানার ডিউটি অফিসার উপ–পরিদর্শক (এসআই) সুমন মিয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দক্ষিণখানের বটতলা এলাকায় মারামারির ঘটনা ঘটেছে বলে শুনেছি। ভিকটিম ক্রিসেন্ট হাসপাতালে রয়েছে।’
সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে লাশ নিয়ে যাওয়া দক্ষিণখান থানার উপ–পরিদর্শক (এসআই) আন্নান উল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বন্ধু বন্ধুর কাছে দুই হাজার টাকা পেত। এ নিয়ে তর্ক–বিতর্কের একপর্যায়ে চাকু মারলে মোসাব্বির মারা যায়।’
তিনি বলেন, ‘ছুরিকাঘাতের সময় সিফাতসহ অন্যরা ছিল। তাদের নাম লেখা আছে।’
এ ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলেও জানান এসআই আন্নান উল আলম।