হোম > সারা দেশ > ঢাকা

পল্লবীতে যুবদল নেতা কিবরিয়া হত্যা মামলার দুই আসামি ৪ দিনের রিমান্ডে

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎

ইনসেটে যুবদল নেতা গোলাম কিবরিয়া। ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর পল্লবীতে দোকানে ঢুকে পল্লবী থানা যুবদলের সদস্যসচিব গোলাম কিবরিয়াকে (৪৭) গুলি করে হত্যার অভিযোগে করা মামলায় গ্রেপ্তার দুজনকে ৪ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট পার্থ ভদ্র রিমান্ডে নেওয়ার এ নির্দেশ দেন।

রিমান্ডে নেওয়া আসামিরা হলেন কিবরিয়া হত্যার নির্দেশদাতা ও পরিকল্পনাকারী সোহেল ওরফে পাতা সোহেল ওরফে মো. মনির হোসেন (৩০) ও মো. সুজন ওরফে বুকপোড়া সুজন (৩৫)। তাঁরা দুজনই সন্ত্রাসী গ্রুপ ‘ফোর স্টার’-এর সক্রিয় সদস্য। রিমান্ড আবেদনে এসব কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

বিকেলে আসামিদের আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পল্লবী থানার পরিদর্শক মোহাম্মদ হানিফ।

রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, আসামিরা পূর্বশত্রুতার জেরে পরস্পর যোগসাজশে একই উদ্দেশ্যে পিস্তল দিয়ে একাধিক গুলি করে গোলাম কিবরিয়াকে (৫০) হত্যা করেছে বলে প্রাথমিকভাবে প্রতীয়মান হয়। মামলাটি একটি নৃশংস খুনের ঘটনার মামলা, যা এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। মামলার ঘটনার সঙ্গে আসামিরা জড়িত থাকার বিষয়ে সাক্ষ্যপ্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে। মামলাটি বর্তমানে তদন্তাধীন আছে। মামলার ঘটনায় জড়িত অন্যান্য আসামির নাম ঠিকানা সংগ্রহ, গ্রেপ্তার, হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারসহ প্রকৃত রহস্য উদ্‌ঘাটনের লক্ষ্যে তাদের পুলিশি হেফাজতে নিয়ে সাত দিনের জিজ্ঞাসাবাদ করা একান্ত প্রয়োজন।

আসামিপক্ষের আইনজীবী মো. রানা শেখ রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী জামাল উদ্দিন বিরোধিতা করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত প্রত্যেকের ৪ দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।

এর আগে গত ১৮ নভেম্বর রাতে সাভার থানার বিরুলিয়া এলাকা থেকে গোলাম কিবরিয়া হত্যা মামলার এজাহারনামীয় আসামি এবং হত্যার নির্দেশদাতা ও পরিকল্পনাকারী মো. মনির হোসেন ওরফে সোহেল ওরফে পাতা সোহেলকে (৩০) গ্রেপ্তার করা হয়। একই রাতে জিএমপির টঙ্গী পশ্চিম থানাধীন মাজার বস্তি এলাকা থেকে শীর্ষ ও পলাতক সন্ত্রাসী মো. সুজন ওরফে বুকপোড়া সুজনকে (৩৫) গ্রেপ্তার করে র‍্যাব-৪-এর একটি দল।

১৭ নভেম্বর সন্ধ্যায় পল্লবীর একটি দোকানে ঢুকে গুলি করে হত্যা করা হয় কিবরিয়াকে। ওই ঘটনায় নিহতের স্ত্রী সাবিহা আক্তার দিনা বাদী হয়ে পল্লবী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, ভিকটিম গোলাম কিবরিয়া মাঝেমধ্যে পল্লবী থানার বিক্রমপুর হার্ডওয়্যার অ্যান্ড স্যানিটারি দোকানে বসে তাঁর বন্ধু মাসুদ রানার সঙ্গে কথা বলতেন। ১৭ নভেম্বর সন্ধ্যা ৬টা ৪২ মিনিটের দিকে ঘটনাস্থলে এসে তাঁকে বুকে ও পিঠে অস্ত্র ঠেকিয়ে গুলি করেন আসামি মো. জনি ভূইয়া, সোহাগ কালু ও রোকন।

হত্যার পরিকল্পনা ও নির্দেশনা দেন আসামি সোহেল ও মাসুম। আসামিরা ভিকটিমের শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাতাড়ি গুলি করেন। গুরুতর রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে হাসপাতাল নেওয়া হলে চিকিৎসকেরা মৃত ঘোষণা করেন। সন্ত্রাসীরা পালানোর সময় স্থানীয় জনতার ওপর গুলিবর্ষণ করলে এক রিকশাচালক গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হন।

সাবেক এমপি শাজাহান খানের মেয়ে ও নুরুন্নবী চৌধুরীর স্ত্রীর নামে দুদকের মামলা অনুমোদন

ধর্ষণের মামলায় গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন ছাত্র রিমান্ডে

নির্বাচনের আগে ডিএমপির ৫০ থানায় নতুন ওসি

যন্ত্রপাতি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে অনন্ত নিটওয়্যারের এমডিসহ চারজনের বিরুদ্ধে ঠিকাদারের মামলা

বাম দলের যমুনা যাত্রা কর্মসূচিতে পুলিশের লাঠিপেটা, আহত ২০

দলবদ্ধ ধর্ষণ ও ভিডিও করে ব্ল্যাকমেল: গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের চার শিক্ষার্থী গ্রেপ্তার

দেশজুড়ে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের দ্বিতীয় দিনের অর্ধদিবস কর্মবিরতি

কর্মচারীদের আন্দোলনে যাওয়া রাষ্ট্রের ব্যর্থতা: রাজেকুজ্জামান রতন

পরকীয়ার সন্দেহ, ডেমরায় স্ত্রী ও শাশুড়িকে যুবকের ছুরিকাঘাত

ডাক বিভাগের ফ্রান্সে রপ্তানির কার্গোতে ইয়াবা, ধরা পড়ল শাহজালাল বিমানবন্দরে