বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত প্রকাশক খাইরুল বাশারের পাশে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতি (বাপুস)। তিনি বগুড়ায় অবস্থিত চয়েস প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী।
আজ শনিবার দুপুর ১২টায় রাজধানীর পঙ্গু হাসপাতালে সংগঠনের সভাপতি প্রাকৃতজ কবি শামিমরুমি টিটনের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল চিকিৎসাধীন এই প্রকাশককে দেখতে যান। পরবর্তীতে তাঁকে সংগঠনের পক্ষ থেকে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়।
এ সময় খায়রুল বাশার বলেন, ‘আমি গত ১৮ জুলাই বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে যোগ দিই। একপর্যায়ে পুলিশ গুলি করলে আমার ডান পায়ে গুলি লাগে। বর্তমানে আমি পঙ্গু হাসপাতালের পুরোনো বিল্ডিংয়ের চতুর্থ তলায় এ ওয়ার্ডের ৩৩ নম্বর বেডে চিকিৎসাধীন রয়েছি। প্রাণের সংগঠন বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির পক্ষ থেকে আমার মতো একজন সাধারণ প্রকাশকের পাশে দাঁড়িয়েছে, সে জন্য আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশক করছি।’
হাসপাতালে খাইরুল বাশারের শারীরিক অবস্থা পরিদর্শনকালে বাপুসের সভাপতি প্রাকৃতজ কবি শামিমরুমি টিটন বলেন, ‘আমাদের প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, দর্শকের সারিতে বসে না থাকতে। তিনি বলেছেন, নিজ নিজ সংগঠনে সংস্কার প্রক্রিয়া জোরদার করতে এবং এটাকে একটা সুযোগ হিসেবে নিতে। তাই সেই সংস্কার প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে আমরা আমাদের কার্যক্রম পরিচালনা করছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আপনারা জানেন সমস্ত আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে, ট্রেড অর্গানাইজেশন রুলসকে উপেক্ষা করে এত দিন একটি স্বৈরাচারের দোসরদের গোষ্ঠী আমাদের সংগঠনের ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রেখেছিল। শুধু তাই নয়, সাধারণ প্রকাশক ও বিক্রেতাদের দুর্বার আন্দোলনে ক্ষমতাচ্যুত সভাপতি বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের ওপর গুলি বর্ষণের দায়ে আজ আত্মগোপনে রয়েছে। বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে সেই খবর ছাপাও হয়েছে। তাই নবগঠিত এই বিপ্লবী কমিটির সভাপতি হিসেবে আমি বলতে চাই, সমিতির প্রত্যেক সদস্যদের পাশে আমরা সর্বাবস্থায় আছি এবং থাকব। সিন্ডিকেট নয় বরং প্রকাশনার জগতে সমতা প্রতিষ্ঠায় আমরা সর্বশক্তি নিয়োগ করব। আমাদের দায়িত্ব ও প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী সকল সদস্যদের যে কোনো বিপদে আপদে আমরা পাশে দাঁড়াব।’
এ সময়ে বাপুসের প্রতিনিধি দলে উপস্থিত ছিলেন জুয়ের পাবলিশার্সের স্বত্বাধিকারী খালেদ মাহমুদ জুয়েল, গ্রন্থ সূত্রের স্বত্বাধিকারী মো. নিজাম, আমি বুক সাপ্লাইয়ের স্বত্বাধিকারী মো. আমির হোসেন, চিন্তাসূত্রের স্বত্বাধিকারী আবু ওবায়েদ প্রমুখ।