বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী দাবি আদায় ঐক্য পরিষদ আগামী সংসদ নির্বাচনের আগেই পে কমিশন বাস্তবায়ন ও নবম পে স্কেল গেজেট জারির দাবি করেছে। আজ শুক্রবার বিকেলে ‘নবম পে স্কেল গেজেট প্রকাশ বাস্তবায়ন’-এর দাবিতে আয়োজিত প্রতিনিধি সমাবেশে এ দাবি জানানো হয়।
রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী দাবি আদায় ঐক্য পরিষদ প্রতিনিধি সমাবেশ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এতে বলা হয়, পে স্কেল বাস্তবায়ন করা না হলে ১৮ লাখ কর্মচারী নির্বাচনের দায়িত্ব থেকে বিরত থাকবেন। বর্তমানে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী আছেন প্রায় ১৫ লাখ।
সমাবেশে স্বাগত বক্তব্যে পরিষদের সমন্বয়ক মো. লুৎফর রহমান বলেন, ‘পে কমিশন নির্বাচনের আগেই দিতে হবে। এটির বাস্তবায়ন না হলে ১৮ লাখ কর্মচারী নিয়ে আমরা কঠোর আন্দোলনে যাব। ১ ডিসেম্বর থেকে যত দিন পর্যন্ত পে কমিশন বাস্তবায়ন না হবে, তত দিন পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চালিয়ে যাব।’
অন্য বক্তারা বলেন, বৈষম্যমুক্ত নবম পে স্কেল অনতিবিলম্বে বাস্তবায়ন করতে হবে এবং তা নভেম্বরের মধ্যেই করতে হবে। ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে গেজেট প্রকাশ করতে হবে। এগুলো না করা হলে কর্মচারীরা সংসদ নির্বাচনের দায়িত্ব থেকে বিরত থাকবেন। নভেম্বরের মধ্যে দাবি না মানলে সারা দেশের সরকারি অফিস বন্ধ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন তাঁরা।
অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ গত বুধবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, সরকারি কর্মচারীদের নতুন পে স্কেলের সিদ্ধান্ত অন্তর্বর্তী নয়, বরং আগামী নির্বাচিত সরকার নেবে। তবে অন্তর্বর্তী সরকার বেতন কমিশনের প্রতিবেদন (বেতনকাঠামো) চূড়ান্ত করে যাবে।
অর্থ উপদেষ্টার এমন বক্তব্যের পর সরকারি কর্মচারী দাবি আদায় ঐক্য পরিষদ এ দাবি জানাল।
সমাবেশে অতিথির বক্তব্যে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর বলেন, বেতনকাঠামোর বৈষম্য দূর করা এবং নবম পে স্কেল দ্রুত বাস্তবায়ন করা দরকার। এটা যৌক্তিক দাবি এবং তা নির্বাচনের আগেই বাস্তবায়ন করা উচিত।